
বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির আয়োজিত বিজয় র্যালি জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুর ২টায় র্যালি শুরুর আগেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন।

দুপুর দেড়টার মধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একদিকে নাইটেঙ্গেল মোড় অন্যদিকে ফকিরেরপুল মোড় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের ভিড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।
খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ক্রমাগতই নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসছেন।
বিএনপির বিজয় র্যালিতে আসা নেতাকর্মীরা ‘স্বাধীনতার অপর নাম, জিয়াউর রহমান’, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম’, ‘মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগানে পুরো নয়া পল্টন ও এর আশেপাশের এলাকা প্রকম্পিত করে তুলেছেন।
উল্লেখ্য দুপুর ২ টায় র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হতে আরো কিছুক্ষন দেরি হবে বলে জানা যায়। র্যালিতে হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

বিজয় র্যালিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা অংশ নেন।
দুপুর সোয়া ২টায় কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে র্যালির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে দেখা যায়, মিছিল বড় হচ্ছে। একপর্যায়ে বিজয় মিছিল অনেকটাই খালেদা জিয়ার মুক্তির মিছিলে পরিণত হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীরা প্ল্যাকার্ড ও বিভিন্ন রকম ফেস্টুন হাতে নিয়ে প্রিয় নেত্রীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার বক্তব্য সংবলিত বিভিন্ন রঙের গেঞ্জিও পরিধান করেছেন অনেকে।
এদিকে বিএনপির বিজয় র্যালিকে কেন্দ্র করে আশপাশের সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মূল সড়ক এবং অলিগলির সড়কেও যানজট ছড়িয়ে পড়েছে। এতে পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েন। অনেককে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
মিছিল ও জমায়েতের কারণে দুপুর ২ টার পর থেকেই রাজধানীর পল্টন, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার ও এর আশপাশের এলাকায় যানজট শুরু হয়।
মিছিলটি বের হওয়ার পর মালিবাগ-মৌচাক, পল্টন-বিজয়নগর, কাকরাইল-নাইটেঙ্গল মোড়, মালিবাগ-রাজারবাগ এলাকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে শনিবার বিজয় মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ। সেদিনও তীব্র যানজটের মধ্যে পড়েন নগরবাসী।