
চট্টগ্রােমর কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় বাস হেলপারকে মারধরের জেরে কাপ্তাই সড়কে ৬ ঘন্টা বাস চলাচল বন্ধ ছিল। আজ রবিবার (২ জানুয়ারি)সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাস চালকারা গাড়ী বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানায়। এতে এ সড়কে যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নগরীর চান্দগাঁও বাস স্টেশন থেকে কাপ্তাই রাস্তা মোড় হয়ে এই সড়কের বাসগুলো চলাচল করে। কাপ্তাই রাস্তার মোড়ে রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডও। প্রায় সময় সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে বাসের চালক-হেলপারদের ঝামেলা লেগেই থাকে। অটোরিকশা স্ট্যান্ডটি ‘অবৈধ’ দাবি করে তা সরানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাস মালিক-শ্রমিকরা।
এরইমধ্যে শনিবার সিএনজি অটোরিকশার এক চালকের সঙ্গে বাসের এক হেলপারের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে ওই হেলপারকে মারধর করা হয় বলে দাবি বাসের মালিক-শ্রমিকদের।
গতকাল শনিবার বাসের এক হেলপারকে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকরা মারধর করে। এসময় এক মহিলা যাত্রীকেও লাঞ্ছিত করেছে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা আজ রবিবার সকাল বাস চলাচল বন্ধ রাখে। অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা উচ্ছেদেরও দাবি জানায় তারা। পরে পুলিশ সেই অবৈধ স্টেশন সরিয়ে দিলে বিকেল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়।
ট্রাফিক পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘এক হেলপারকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা কয়েকঘন্টা বাস চলাচল বন্ধ রাখে। এ খবর পেয়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বাস মালিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমরা বলেছি, যদি আপনাদের কোনও শ্রমিক আহত হয়, তাহলে আপনারা থানায় মামলা করেন। থানা মামলা নিবে। মারধরের কারণে সড়ক অবরোধ করে সাধারণ যাত্রীদের কষ্ট দিতে পারেন না। পরে মালিকরা বাস চলাচল স্বাভাবিক করেন।
তিনি আরও বলেন, বাস মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা স্টেশন উচ্ছেদ করা হয়েছে।