
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
ঘর থেকে বাইরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অধিকাংশ মানুষই তা মানছেন না। দিন যত যাচ্ছে, লোকজন ততই মাস্ক ব্যবহারে উদাসীন হচ্ছেন।
জরিমানা দিতে রাজি কিন্তু মাস্ক পড়তে অনিহা মানুষের। মাস্ক ছাড়া বাইরে না যেতে সরকারের পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়াসহ নানা মাধ্যমে প্রচার চালানো হলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রচারণা, মাস্ক পড়া সচেতনতা, মাস্ক বিতরণ এবং জরিমানা করেও মুখে মাস্ক পড়ানো যাচ্ছে না।
সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকায় প্রশাসনের অভিযানে অনেকে মাস্ক না পড়ায় জরিমানা গুনেও মাস্ক ব্যবহারে অনিহা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ লোকই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। গণপরিবহনের শ্রমিক ও যাত্রী, হাটবাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী, ধর্মীয় উপাসনালয়ে আগত ব্যক্তি, পথচারীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতা দেখা গেছে। বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সবজি, মাছ, মুদি, ফল বিক্রেতাসহ অধিকাংশ দোকানদারের মুখেই মাস্ক নেই। অনেক ক্রেতাও আসছেন মাস্ক ছাড়া।
অথচ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, মাস্ক না পরে ক্রেতা-বিক্রেতারা কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন না। বাজারে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাজার কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা নিয়মিত ভাবে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করছি। জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরন, সচেতন এবং কোন কোন ক্ষেত্রে জরিমানাও করা হচ্ছে।