
আনোয়ার হোসেন ফরিদ, ফটিকছড়ি চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ৩ টি সড়ক ম্যাকাডামে এক যুগ অতিক্রম করলে ও টাকা বরাদ্দ না থাকায় সড়ক গুলোর কখন কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে কেউ জানে না! সড়কের কারণে জনগণকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।
খবর নিয়ে জানা যায়, ২০০৪-২০০৫ অর্থ বছরে উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া-কাঞ্চননগর, কর্ণফুলী চা বাগান ও আমতল সড়ক প্রতিটি ১ কিলোমিটার করে কার্পেটিং করার জন্য ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হলে যথারীতি ইলিয়াছ এন্ড ব্রাদার্স রাঙ্গামাটিয়া সড়কের, এশিয়ার সর্ববৃহত কর্ণফুলী চা বাগান সড়ক মেসার্স হক এন্টার প্রাইজও আমতল সড়ক মেসার্স আয়ুব খান ঠিকাদার কাজ আরম্ভ করে মেকাডাম করে । পর পরবর্তীতে এ সড়ক গুলোর কাজের বরাদ্দের টাকা না থাকায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ৩ টি সড়কের ৩ কিলোমিটার কার্পেটিং শেষ করতে না পারায় এখন এসব সড়ক গুলোর ম্যাকাডাম উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মেসার্স আয়ুব খান এর স্বত্ত্বাধীকারী আয়ুব বলেন, কর্ণফুলী চা বাগান সড়কের জন্য ৫৮ লাখ ও অন্য ২টি সড়কের জন্য ৩১ লাখ টাকা করে ৬২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সড়কের মেকাডাম যাবৎ প্রতি ঠিকাদারের ১৭ লাখ টাকা করে ব্যয় হলে ও ৪ বছর পর প্রতি ঠিকাদার ১৪ লাখ টাকা করে বিল উত্তোলন করে তৎ মধ্যে ১২% করে জরিমানা দিতে হয়েছে। ফলে প্রতি ঠিকাদারের প্রায় ৬ লাখ টাকা করে ক্ষতি হয়। কিন্তু বরাদ্দের টাকা না থাকায় কাজ হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, সড়ক গুলো এখন পৌরসভার আওতায় তবে জনস্বার্থে স্থানীয় সাংসদ ডিও লেটার দিলে কাজ হতে পারে। আর সড়ক গুলোর ব্যাপারে এলজিইডি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। আশা করি বরাদ্দ আসতে পারে। আসলে কাজ করা হবে।
ফটিকছড়ি পৌর মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ফটিকছড়ি পৌরসভা হয়েছে ৬ বছর। সড়ক গুলো এ ভাবে পরে রয়েছে ১২ বছর । আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি আগামী জুনের ভিতর যেন সড়ক গুলোর কাজ হয় সে ভাবে।