
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মহিন উদ্দিনকে (৬২) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের মেয়ে শাহিনা আক্তার (৩৭)’সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে নিজ সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। এরআগে গত মঙ্গলবার ভোরে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের সালনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের মো. মাহফুজুর রহমানের ছেলে মো. নূর নবী সুমন (৪০), তার ছেলে ইউসুফ শামীম (১৮) ও স্ত্রী শাহিনা আক্তার (৩৭)।
এসপি বলেন, বাকবির্তকের এক পর্যায়ে প্রথমে নিজের বাবাকে (মহিন উদ্দিন) ধাক্কা দিয়ে পানিতে ফেলে দেয় শাহিনা আক্তার। এরপর মহিন উদ্দিন পানি থেকে উঠে আসলে তাঁকে কিল-ঘুষি দেয় জামাই নূর নবী ও নাতি ইউসুফ শামীম। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনরা তাঁকে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মহিন উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, মহিন উদ্দিন হত্যাকান্ডের পর তাঁর দ্বিতীয় মেয়ে বিবি কুলসুম লাভলী বাদী হয়ে ৪জনকে আসামি করে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ড ও জবানবন্দির আবেদন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুর্তাহীন বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক জায়গা-জমি নিয়ে মহিন উদ্দিনের সাথে বিরোধ চলছিল তার মেয়ে শাহিনা ও জামাই নুর নবী সুমনের। গত ৩০ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ নিয়ে মহিনের সাথে মেয়ে শাহিনা, জামাই সুমন ও নাতির শামীমের সাথে বাকবির্তক হয়। এর একপর্যায়ে মহিন উদ্দিনকে প্রথমে পানিতে ফেলে ও পরে পিটিয়ে জখম করে তারা। এতে তিনি গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির লোকজন ও স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।