
কাঙ্খিত টেন্ডার না পেয়ে পিস্তল উচিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্মকর্তাদের উপর হামলা চলিয়েছেন রোটারিয়ান ইলিয়াছ নামে চট্টগ্রাম নগর কমিটির এক আওয়ামী লীগ নেতা। এতে আহত হয়েছেন বন্দরের মেরিন ওয়ার্কশপের ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার এমদাদুল হক ও এক্সিয়েন মহিউদ্দিন। গুরুত্বর আহত এমদাদুল হককে বন্দর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনা বন্দর কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
বুধবার দুপুরে নগরীর বারেক বিল্ডিং এলাকায় অবস্থিত বন্দরের মেরিন ওয়ার্কশপে এ হামলা ঘটনা ঘটেছে।
বন্দরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছে অভিযুক্ত ইলিয়াছের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আহত প্রকৌশলী এমদাদুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে ইলিয়াছ সব সময় বন্দরে প্রভাব খাটায়। টেন্ডার না পেয়ে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। বুধবার দুপুরে বহিরাগত লোকজন নিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ কোন কারণ ছাড়াই আমাদের গালাগাল করতে থাকে। আমরা প্রতিবাদ করলে সে আমাদের উপর হামলা চালায়। এবং পিস্তল উচিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বন্দর জোনের উপপুলিশ কমিশনার হারুনুর রশিদ হাজারি বলেন, বন্দর কর্মকর্তাদের উপর হামলার অভিযোগ এসেছে। লাইন্সেস করা অস্ত্র প্রদর্শন করে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। এর সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বন্দরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াছের এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও সে আরো কয়েকজন বন্দর কর্মকর্তাদের উপর হামলা করেছে। ইতোপূর্বে তার হাতে নাজেহাল হয়েছেন বন্দরের ডেপুটি কনজেরভেটর ক্যাপ্টেন নাজমুল ও ক্যাপ্টেন জহির। এসব ঘটনার বিচার না হওয়ায় বার বার হামলা ঘটনা ঘটেছে। বন্দরের মত সংরক্ষিত এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া চালায় বলে অভিযোগ করেন না পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা।
জানাগেছে ইলিয়াছ আগে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন গ্রুপ করলেও বর্তমানে মেয়র আ জ ম নাছির গ্রুপের লোক বলে পরিচয় দেয়। এবং প্রকাশে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে গালাগাল করেন।
এদিকে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে রোটারিয়ান ইলিয়াছ বলেন, তারা ( প্রকৌশলী এমদাদুল হক ও মহিউদ্দিন) নিজেরা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাই আমার সাথে থাকা লোকজন তাদের চড় থাপ্পর মেরেছে। এর চেয়ে বেশি কিছু ঘটেনি।