
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীত উপজেলার আহলা কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হারাধন চৌধুরীর (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) সকালে হারাধনের লাশ পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে।
পরিবারের দাবি ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পরে সকালে বাড়ি থেকে ২০০শত গজ দূরে একটি পুকুর পাড়ে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।
লাশ উদ্ধারের সময় তাঁর মোবাইল ফোন ও একটি কম্বল পাওয়া যায় পাশের একটি জমিতে। তবে তাঁর শরীরের আঘাতের কোন চিহ্ন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক।
তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত হারাধন চৌধুরী উপজেলার উত্তর কড়লডেঙ্গা গ্রামের হরদাশ মাতব্বর বাড়ির মৃত চিন্তাহরণের ছেলে। তার দুই সংসারে ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে শহরে থাকেন। গ্রামের বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রী সুপ্রিয়া ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন হারাধন চৌধুরী। তিনি কৃষি কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করতেন।
নিহতের স্ত্রী সুপ্রিয়া চৌধুরী জানান, বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির আশেপাশে তিনটি অটো-রিকশা ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তাই তিনি ভয়ে ঘরে না এসে বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে (হারাধন) থেকে সন্ত্রাসীরা কাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তিনি ঘরে ফিরে আসেননি।
স্থানীয়রা জানান, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মনসা পূজা উপলক্ষে বাড়ির বাইরে প্রায়জনই জেগে গল্পগুজবে ব্যস্ত ছিলেন। এরপর ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বেশ কয়েকটি সিএনজি চালিত অটো-রিকশার শব্দ শোনা যায়। ঘর থেকে হারাধনের স্ত্রী বের হয়ে অটোরিকশায় এলাকার পরিচিত একজনকে দেখতে পেয়ে তিনি পুলিশ নিয়ে এসেছে সন্দেহে স্বামীকে সরে যেতে বললে হারাধন বাইরে অবস্থান করছিলেন। এর আগে স্থানীয় একটি মারামারির ঘটনায় হওয়া মামলায় আদালতে জামিন নিতে গিয়ে হারাধন চৌধুরী গ্রেফতার হন। তিনি ১০দিন ধরে জেলহাজতে ছিলেন। এলাকাবাসী চাঁদা তুলে তাকে জামিনে আনেন। জামিন পেয়ে গত দুই-তিন আগে হারাধন চৌধুরী বাড়ি আসেন। খুব হতদরিদ্র ছিলেন সাবেক এই ইউপি সদস্য।