
আদালত চলা অবস্থায় এজলাসে ঢুকে মোবাইল ফোনে বিচারিক কার্যক্রম ভিডিও করছিল তৌহিদুল আলম নামে এক যুবক। বিষয়টি দেখে একজন আইনজীবি তাকে ভিডিও করতে নিষেধ করেন। কিন্তু এতে তিনি কর্ণপাত করেননি বরং নিজেকে ক্রাইম রিপোর্টার (অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিক) পরিচয় দেন কথিত এই সাংবাদিক। পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে তাকে আটক করে তার মোবাইল ফোন জব্দ করে তাকে এক ঘন্টা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে রাখা হয়।
সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ মোছাম্মৎ ইশরাত জাহান নাসরিনের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে এশিয়ান টেলিভিশনের ক্রাইম অনুসন্ধানের সহকারী প্রযোজক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অনুপ কুমার চৌধুরী স্বপন জানান, বেলা ১২টার দিকে এক ব্যক্তি এজলাস কক্ষে ঢুকে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিল। এ সময় এক আইনজীবী তাকে দেখার পর মোবাইল বন্ধ করতে বলেন। এরপরও তিনিও ভিডিও ধারণ অব্যাহত রাখেন। এসময় কয়েকজন আইনজীবী মিলে তাকে ধরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। আদালত তার মোবাইল জব্দের আদেশ দিয়ে তাকে কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করানোর নির্দেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে ধারণ করা ভিডিও মোবাইল থেকে মুছে ফেলা হয়। এরপর মোবাইল ফেরত দিয়ে বিচারক তাকে আদালত ত্যাগের নির্দেশ দেন।
ভিডিও ধারণের জন্য লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করার জন্য আদালত তাকে সতর্ক করেন। আদালতের নির্দেশে ধারণ করা ভিডিও মোবাইল থেকে মুছে ফেলা হয়। এরপর মোবাইল ফেরত দিয়ে বিচারক তাকে আদালত ত্যাগের নির্দেশ দেন।
চট্টগ্রামের পেশাদার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন সময় ঢাকা থেকে এশিয়ান টেলিভিশনের ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। আদালতের এজলাসে অপরাধ-অনুসন্ধান করতে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই সংক্রান্ত স্ট্যাটাস দিচ্ছেন চট্টগ্রামের কর্তব্যরত সাংবাদিকরা।
সাংবাদিকরা জানান, তৌহিদুল আলম, বোয়ালখালীর শাকপুরা এলাকার বাসিন্দা হলেও চট্টগ্রামে বসবাস করেন। কার্ড কিনে নিয়েছেন ‘অপরাধ অনুসন্ধান’ নামের একটি অনুষ্ঠানের। সেখানে তার কাজ কি সেই বিষয়ে কোন ধারনা দিতে পারেন নি আদালত বিটের সাংবাদিকরা।