
চট্টগ্রামে ৬ বছর আগে ২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত ১১ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে।
আজ রবিবার (১২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরিফুল আলম ভুঁইয়ার আদালত এ রায় দেন। মামলার অভিযোগপত্রে আসামি ছিল মোট ১৭ জন। এর মধ্যে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল গভীর সমুদ্রে ট্রলার থেকে ২০ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুরাদ বলেন, ১১ আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আটজনের প্রত্যেককে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং অন্য তিন আসামিকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ে খালাস পেয়েছেন ছয়জন। দণ্ডিতদের মধ্যে ৯ জনকে রায় ঘোষণার পর কারাগারে পাঠানো হয়।
১৫ বছর করে কারাদণ্ড পাওয়া ৮ জন হলেন- মো: মকতুল হোসেন, মো: নূর, হেলাল উদ্দিন, আব্দুল খালেক ওরফে বুদইন্যা, মো: জানে আলম, মো: লোকমান, মো: এনায়েতুল্লাহ ও নুরুল মোস্তফা।
পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত ৩ আসামি হলেন- মো: মোজাহার মিয়া, আব্দুল নূর ও আব্দুল জলিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল ভোরে গভীর সাগরে এফভি মোহছেন আউলিয়া নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ ইয়াবাসহ আটজনকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭। আটককৃতরা হলেন: মকতুল হোসেন, আব্দুর নূর, হেলাল, আব্দুল খালেদ, জানে আলম, লোকমান, এনায়েত উল্লাহ ও নুরুল মোস্তফা।পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিনই নগরীর পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাড়ি থেকে র্যাব গ্রেফতার করে মোজাহার মিয়া নামে আরেকজনকে। এ ব্যাপারে মামলা হলে ২০১৮ সালের এপ্রিলে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাতে ১৭ জনকে আসামি করা হয়। ২০২০ সালের ১০ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে ১৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।