
বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করা পণ্য খালাস না করায় চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা পচনশীল পণ্য ধ্বংস করার কাজ শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে নগরীর আউটার রিং রোড-সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গায় গর্ত খুঁড়ে এসব পণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে।
এবার ৭৩ কনটেইনার পচনশীল পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ কনটেইনার পণ্য ধ্বংসের পরিকল্পনা রয়েছে কাস্টমসের।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মুহাম্মদ মাহফুজ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বন্দরে থাকা ৭৩টি কনটেইনারে থাকা পচনশীল পণ্য ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ সকাল থেকে পরিবেশসম্মত উপায়ে পণ্য ধ্বংস করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি কনটেইনার ধ্বংস করার পরিকল্পনা আছে।
এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও একদফা পচনশীল পণ্য ধ্বংস করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ৭৩টি কনটেইনারের মধ্যে বন্দরের ভেতর ১২টি রেফার্ড ও ড্রাই কনটেইনার ও অফডকে ৬১টি ড্রাই কনটেইনার রয়েছে। এসব কনটেইনারে আদা, সুপারি, খেঁজুর, বীজ, মাছ জাতীয় পণ্য রয়েছে। আমদানীকারকরা এসব পণ্য খালাস না করায় কন্টেইনার ভর্তি এসব নষ্ট পণ্য এতোদিন বন্দরে পড়েছিল।
কাস্টম কর্মকর্তারা জানান, বিদেশ থেকে আনা এসব কন্টেইনারভর্তি পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে খালাস নেয়নি আমদানিকারকরা। নিয়ম অনুযায়ী আমদানি পণ্য ৩০ দিনের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিস দেয়া হয়। নোটিস দেয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না নিলে সেসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। যেসব পণ্যের মেয়াদ থাকে না এবং পচে যায় সেগুলোর ধ্বংস কার্যক্রম পরিচালনা করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।