চট্টগ্রামের পলোগ্রান্ডের মাঠে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশে যোগ দিবেন বিকেল ৩টায়। কিন্তু সকাল থেকে দুর দরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছে। সকাল ১০টার পর থেকে কড়া নিরাপত্তায় মাঠে প্রবেশ করতে দিচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।এ জন্য বসানো হয়েছে ৮টি তল্লাশি চৌকি। সমাবেশস্থলে আগত নেতাকর্মী ও মিডিয়াকর্মীদের ব্যাগ, ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্র বিশেষভাবে তল্লাশি করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দুপুরের দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে সভা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে মাঠে জড়ো হতে শুরু করেছে শত শত নেতাকর্মী।
নগরীর ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা, থানা পর্যায় থেকে বাস, অটোরিকশা, নৌকা, স্টিমারসহ নানা বাহনে নগরীতে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। বেশিরভাগ লোকজন জড়ো হচ্ছে পাশ্ববর্তী সিআরবির বিশাল এলাকায়। সেখান থেকে নানা রংরয়র টি-শার্ট পড়ে ব্যানার, পোষ্টার নিয়ে মিছিল করে সমাবেশস্থলে যাচ্ছে।
আজ রবিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত সভাস্থলের বাইরে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। ইতোমধ্যে মাঠের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন পটিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজানসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা। এক এক এলাকার কর্মীরা এক এক রঙের টি শার্ট পরে এসেছেন। এর মধ্যে লাল রঙের টিশার্টে পটিয়া, কমলা রঙের টিশার্টে সন্দ্বীপ, গোলাপি রঙের টিশার্টে রাউজানের নেতাকর্মীরা এসেছেন।
জেলার বিচ্ছিন্ন এলাকা সন্দ্বীপের ১৫টি ইউনিয়ন থেকে ১৫ হাজার নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে এসেছে দাবি করেছেন এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা। তিনি বলেন, বিভিন্ন ট্রলার ও বোটে করে শনিবার রাতে আমরা রওনা হয়েছি। আজ সকাল সাতটায় চট্টগ্রাম সদর ঘাট এলাকায় নামি এবং ৯টার দিকে পলোগ্রাউন্ডে সব নেতাকর্মী প্রবেশ করেন।
পটিয়ার এমপি হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বলেন, এক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই নিজ সংসদীয় এলাকায় আমরা বর্ধিত সভা, কর্মীসভা ও প্রস্তুতি সভা করেছি। ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত। পটিয়া থেকে ২১-২২ হাজার লোক জনসভায় উপস্থিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে জনসভার জন্য পলোগ্রাউন্ডের বিশাল মাঠের শেষ প্রান্তে পৌনে ৫ লাখ বর্গফুটের নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের এই মঞ্চে ২০০ জনের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূল মঞ্চ থেকে ৩০ মিটার সংরক্ষিত রেখে পশ্চিমে গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের বসার জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পূর্বদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এবং মাঝখানে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
এর আগে পলোগ্রাউন্ডে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মহাসমাবেশে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছিলেন।
এবারের জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ একমাস যাবত ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। দলের নেতারা আশা করছেন, এটি হবে এ যাবৎকালের চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সমাবেশ।