
মহান বিজয় দিবসে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। বিজয় দিবসের সকালে নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে বিজয় শোভাযাত্রা নিয়ে নিউ মার্কেট সংলগ্ন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল মাঠে অস্থায়ী শহিদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। সকাল থেকে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল নিয়ে রঙ বেরঙের পোষাক পরে জাতীয় পতাকা হাতে নেতা-কর্মীরা র্যালিতে যোগ দেন।
নুর আহম্মেদ সড়কে র্যালীপূর্ব সমাবেশে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে বীর সন্তানেরা অকাতরে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিল, সেই স্বপ্ন থেকে দেশকে আজ অনেক দূরে ঠেলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ফ্যাসিস্ট সরকার মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ভুলে গেছে, অথচ তারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করে। তারা জনগণের উপর নিত্যনতুন কৌশলে নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। বিরোধী রাজনীতির কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। গণহারে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, মামলা হামলা করছে। বিএনপির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বিজয়ের দিনে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিন কাটাচ্ছেন। এই দানবীয় সরকারের কবল থেকে জনগণকে মুক্তির লক্ষ্যে সব গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল ও জনগণের ঐক্য গড়ে তুলে জনতার সরকার প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।

এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমরা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে হানাদারদের পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছিলাম। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা সেদিন স্বজন হারানোর বেদনা ভুলে আনন্দিত হয়েছিলাম, সেই স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। দেশের সম্পদ লুটপাটের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সংগ্রাম ছিল। কিন্তু স্বাধীন দেশে বর্তমান লুটেরা অগণতান্ত্রিক শাসক দেশের সম্পদ বাইরে পাচার করে দিচ্ছে। আজকের এই কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, শ্রমিকদলের শামসুল আলম (ডক), শম জামাল উদ্দিন, ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দর, কোতোয়ালী থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, চকবাজার থানার সাধারণ সম্পাদক নুর হোসাইন, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, তাতীদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।