চট্টগ্রমে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছে। পুলিশ বিএনপির ১৮ নেতাকর্মী আটক করেছে। এসময় ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটর বাইকে আগুন দেয় বিক্ষোব্ধ নেতাকর্মীরা।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে সংঘর্ষ নুর আহমদ সড়কের পুরান বিমান অফিস, স্টেডিয়াম এলাকা, আলমাস সিনেমার মোড় হয়ে ওয়াসা এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে যাবার সময় এ সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের প্রতি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপি কর্মীরা। পুলিশ ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে। এসময় কাজীর দেউড়ি এলাকায় বিভিন্ন দোকান ও স্থাপনা ভাঙচুর হয়। বিভিন্ন টাইলসের দোকানের ব্যাপক টাইলস ভাঙচুর হয়।
মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান, সমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে দলীয় অফিসে আসার সময় কাজীর দেউড়ি মোড়ে পুলিশ বিনা উ্কিানীতে যুবদলের মিছিলে হামলা করেছে। এতে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের ছুড়া গুলিতে আমাদের ৭/৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। অন্তত ৮/১০কে আটক করেছে।

সিএমপির পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর বিনা কারণে হামলা করেছে। গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে। আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বাড়তি ফোর্স আনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অভিযান চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।’
