
সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম অফিস:
সীতাকুণ্ডে চাঞ্চল্যকর সিএনজি চালক একরাম হোসেন হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যা মামলার ৪ আসামীকে cগ্রপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেপ্তারকৃত খুনিরা আদালতে স্বীকার করেছে মাত্র ৫ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় পরিকল্পিতভাবে একরাম হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।
আজ শনিবার (২৮ জানুয়ারী) সকালে ৪ আসামিকে নিয়ে পিআইবি টিম ঘটনাস্থল সীতাকুণ্ডের ফায়ার সার্ভিসের সামনে মহাসড়কের পশ্চিম পার্শ্বে সেই দিনের খুনের বর্ণনামতে মহড়া দেয়। এবং পার্শ্ববর্তি পুকুরে জাল ফেলে তল্লাশী চালিয়ে হত্যারকাজে ব্যবহ্নত ছুরি উদ্ধার করেছে।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারী এজাহারভুক্ত ৪ আসামিমোঃ জাহেদ হোসেন (২০), নূর আহাম্মদ (৪০), মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সাকিব (২০), এবং মোঃ ইসমাইল হোসেন রানা (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একটি সিএনজি ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর রাতে সীতাকুণ্ড পৌরসদরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে দাবীকৃত ৫ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় আসামীরা সিএনজি চালক একরাম হোসেন (২০) কে হত্যা করে। ঘটনার পর নিহত একরাম হোসেন ভাই নুরুল হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় এজাহার দায়ের করে। এরপর হত্যা মামলাটি থানা পুলিশের তদন্তের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নামে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসআই মোঃ শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্ব একটি টিম। বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে গত বৃহস্পতিবার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খান আসামী সাকিব ও রানাকে ৩ দিন এবং নুর আহাম্মদ ও জাহেদ হোসেনকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, মামলাটি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে পিবিআই ছায়া তদন্ত করে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ৪ আসামীকে গ্রেপ্তার করা। তাদের স্বীকারোক্তি মতে ঘটনাস্থলে গিয়ে খুনের মহড়া করে দেখানো হয় এবং তাদের দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। ইতোমধ্যে হত্যার দায় স্বীকার করে আসামীরা আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি দেয়।
আসামিদের মধ্যে মোঃ জাহেদ, সাকিব ও মোঃ রানা তিনজনই সিএনজি চালক আর নুর আহম্মদ সিএনজি অটোরিক্সা মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক।