
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, প্রতিদিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সাধারণ মানুষ আর চলতে পারছে না। সরকার এক সপ্তাহের মধ্যে দুই বার জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করেছে। তারা যদি জনগণের সমর্থনের প্রতি শ্রদ্ধা করত, তাহলে জিনিসপত্রের দাম এভাবে বাড়াত না। তারা জনগণের ভোটে ভোটে ক্ষমতায় আসতে চায় না। তারা যদি চাইত, তাহলে জনগণের কল্যাণে কাজ করত। তারা মূলত আবার ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে।
তিনি আজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়াররী) বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। নগরীর নাসিমন ভবনের সামনে নূর আহমদ সড়কে আয়োজিত এ সমাবেশে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বিএনপির নেতারা সরকার পতনের যে কোন কর্মসূচি চট্টগ্রাম থেকে সফল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর দুইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই আশেপাশের এলাকাও লোকারণ্য হয়ে যায়। এ সময় নগরীর কাজীর দেউড়ি থেকে নিউ মার্কেট সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, চট্টগ্রাম আন্দোলন-সংগ্রামের পুণ্যভূমি। শহীদ জিয়া এখান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এখানেই তিনি শাহাদাতবরণ করেন। শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য আমরা লড়াই করছি। কীসের সেই আদর্শ? যিনি দেশের দুঃসময়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, অর্থনীতির মুক্তির জন্য তিনি লড়াই করেছেন।এখন আমাদেরকে এই লডাইয়ে শামিল হতে হবে।এই লডাইয়ে আমাদেরকে জিততেই হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, মৎস্যজীবী সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, উপজাতি সম্পাদক মা ম্যা চিং, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, হারুনুর রশীদ ভিপি, সহ কর্মসংস্থান সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ ভূইয়া, সহ গ্রাম সরকার সম্পাদক বেলাল আহমদ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শাহাবুদ্দীন সাবু, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বি এস সি, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উদয় কুসুম বড়ুয়া, কাজী মুফিজুর রহমান, মশিউর রহমান বিপ্লব, সাচিং প্রু জেরী, ফেনী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, নোয়াখালী জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড, শামীম আরা স্বপ্না, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বান্দরবন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এম এন আফসার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এনামুল হক এনাম বক্তব্য রাখেন।