
চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভর্তি, পুনঃ ভর্তি, ছাড়পত্র (টিসি) গ্রহনকালে নেয়া অতিরিক্ত অর্থ আগামী ১০ দিনের মধ্যে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যতায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁসিয়ারী করেছেন জেলা প্রশাসক।
আজ মঙ্গলবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) এবং জেলা প্রশাসনের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিকাল ৩টার পর অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেনে আরা ক্যাব কর্মকর্তাদের সাথে বাকবিতন্ডতায় লিপ্ত হলে বৈঠকে ব্যাপক হট্টগোলের কারণে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।

সভায় জেলা প্রশাসক সামশুল আরেফিন সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হাবিবুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয় কোন ধরণের পূর্ণভর্তি এবং উন্নয়ন ফি নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা যাবে না। ছাড়পত্র (টিসি) নিতে ২শ টাকার বেশী নেয়া যাবে না।
যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অভিভাবকদের কাছ থেকে ইতোমধ্যে অর্থ আদায় করেছে তাদেরকে তা ফেরত অথবা মাসিক বেতনের সাথে সমস্বয় করে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ না করে মহানগরীর অনেক স্কুলে ভর্তি ফি, উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ, টিসিসহ নানান খাতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি অভিযোগ ও স্মারকলিপি আমাদের কাছে জমা পড়ে। পরে তদারকিতে তার সত্যতা পাওয়া গেছে। এমন কয়েকটি স্কুল আছে যেখানে ভর্তির সময় নানাখাত দেখিয়ে দশ হাজারের বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। যা কখনো কাম্য নয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকার বেতনভাতা দিচ্ছে। এমনও কিছু স্কুল আছে, যেখানে নন-এমপিওভুক্ত কিছু শিক্ষককে নিয়োগ দেন স্কুল পরিচালনা কমিটি। সেই শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার অজুহাতেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সভায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক আবুল মনসুর ভূইয়া, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান, ইলামার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারুলসহ শতাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।