
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর এলাকায় অবস্থানরত বিদেশী জাহাজ থেকে সাগরে পড়ে নিখোঁজ চীনা প্রকৌশলী ঝাং মিংইয়ানের (৪৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
৩ দিন আগে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে ওই চীনা প্রকৌশলী সাগরে পড়ে নিখোঁজ হন।
আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকালে বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর আনন্দবাজার উপকূলীয় এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
এর আগে গত ২৮ মার্চ জাহাজ থেকে পড়ে তিনি নিখোঁজ হন। ওই জাহাজের ১৬ নাবিক লাইফবোট ড্রিল করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-সংরক্ষক ক্যাপ্টেন মো. ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের অনুসন্ধান দল আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে হালিশহরের আনন্দবাজার খাল থেকে চীনা জাহাজ এমভি ক্যাং হুয়ানের প্রধান প্রকৌশলী ঝাং মিংইয়ানের (৪৩) মরদেহ উদ্ধার করে।
জাহাজটির স্থানীয় এজেন্ট ও কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে বহির্নোঙরের আলফা এলাকায় ড্রিল করার সময় দড়ি ছিড়ে লাইফবোটটি ১৬ ক্রু নিয়ে পানিতে ডুবে যায়।
এ ঘটনায় সেদিনই কোস্টগার্ড, বন্দর উদ্ধারকারী দল চবক ও স্থানীয় মাঝিদের সহায়তায় ১৫ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে। তবে ঝাং মিংইয়ান ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
ফরিদুল আলম আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে হালিশহর থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তার মৃত্যুর ঘটনায় জিডি করা হবে।
নৌবাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী জাহাজে থাকা লাইফবোট প্রতি মাসে পরীক্ষা করতে সাগরে নামাতে হয়। এরকম টেস্ট করতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত জাহাজ থেকে লাইফবোট সাগরে পড়ে যায়। লাইফবোটটি ফুল লোড ছিল। এরকম পরীক্ষা করতে সাগরে নামানোর সময় ফুল লোড থাকা উচিত না। লাইফবোটে ১৬ জন ছিল। যেখানে ২-৩ জনের বেশি থাকা উচিত না। এ ঘটনায় ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।