
চট্টগ্রাম মহানগরীর ডিসি রোডে ভাড়া বাসায় আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬) নামে এক শিক্ষানবীশ আইনজীবীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনের স্ত্রী তামিমা আক্তার লীজাকে আটক করেছে।
গতকাল বুধবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মিয়ার বাপের মসজিদ এলাকায় একটি ভবনে এই ঘটনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে।
আটক স্ত্রীর দাবী তার স্বামী মামুন গতকাল রাতে বাসার ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। তবে মামুনের পরিবার পুলিশকে জানিয়ে আত্মহত্যা নয় মামুনকে তার স্ত্রী হত্যা করেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
সিএমপি চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর কাদের জানান, ডিসি রোডের বাসায় এক যুবক আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। আজ ভোরে চমেক হাসপাতাল থেকে মামুনের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

নিহত মো.মামুন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার ওসমান চৌধুরী পাড়ার জামাল উদ্দীনের ছেলে। তিনি চন্দনাইশ বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেখান থেকে পাস করে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার বন্ধু রায়হান জানান বলেন, গতকাল রাত ১২টার দিকে মামুনকে পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সুরতহাল করার সময় তার অন্ডকোষ, গলায়, চোখে হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে মামুনের বড় ভাই মামলা করবে।
তিনি বলেন, লীজার সঙ্গে প্রেম করে মামুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে মামুন ও তার স্ত্রী ডিসি রোডে এক রুমের চিলেকোঠায় বসবাস করছিল।
মামুনের আরেক বন্ধু নাছির আলী বলেন মামুন শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি।
মামুনের লাশের ছবি দিয়ে উৎপল শুভ্র নামে তার এক বন্ধু ফেসবুকে লিখেছেন, “প্রিয় মামুন ভাই তুমি এভাবে চলে যাবা ভাবতে পারি নাই। খুব হাসি খুশি আর ভালো মনের একজন মানুষ ছিলা ভাই। যে ভালোবাসার মানুষের জন্য তুমি এত কিছু করছো সেই তোমার সাথে এমন করলো ভাবতে কষ্ট হচ্ছে আমরা এটার সুষ্ঠ বিচার চাই।”