সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
সীতাকুণ্ডে যুবদলের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে পন্ড করে দিয়েছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার সময় উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের সাগর উপকুল এ হামলার ঘটনা ঘটে। সীতাকুণ্ড থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের লাঠিচার্জে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার নেলীসহ বিএনপি, যুবদলের ১০/১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবী করেছে বিএনপির নেতারা।
তবে পুলিশের দাবী বিনা অনুমতিতে যুবদল ঐ স্থানে সমাবেশ করেছিল তাই। আয়োজন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবদলের আয়োজনে আজ বেলা ১১টার দিকে বাড়বকুণ্ডের পশ্চিমে সাগর উপকুলে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শুরুর পর থেকেই সাদা পোশাকে পুলিশ ঔই এলাকায় অবস্থান নেন। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
এসময় তার নেতৃত্বে পুলিশ দল কোন রকম উস্কানি ছাড়াই ব্যাপক লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। পুলিশ মঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। পুলিশের হামলায় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার নেলীসহ কয়েকজন নেতাকর্ আহত হয়।মী
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা উপজেলা যুবদল দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করি। হঠাৎ করে পুলিশ হাজির হয়ে নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে মঞ্চ ভেঙে গুড়িয়ে দেয। পুলিশের প্রহারে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার নেলীসহ ১০/১২ জন নেতাকর্মীকে মেরে আহত করে। পুলিশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
তবে পুলিশ একজন আটকের কথা স্বীকার করেছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, কোন অনুমতি ছাড়াই শত শত লোক জড়ো করেছে যুবদল। এটা কোন পর্যটন এলাকা নয়, এখানে কেন তারা পিকনিক করবে। ওই জায়গাটিতে একাদিক গ্যাস কারখানাও রয়েছে। যেকোন বিপদ ঘটতে পারে এ আশঙ্কা থেকেই অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছি।