
দীর্ঘ চার মাস ২০দিন তথা ১৪০ দিন পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তার বিরুদ্ধে সব মামলায় জামিন হওয়ার পর আজ মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪ টার সময় ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
এসময় জেলগেটে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রিজভীর সহধর্মিণী আরজুমান আরা বেগমসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, যুবদলের সাবেক ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এসএম হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ। পরে একটা প্রাইভেট গাড়িতে করে নয়া পল্টনের উদ্দেশে রওনা হন রিজভী।
উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ওইদিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেদিন রুহুল কবির রিজভীকেও আটক করে কারাগারে নেয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি কারাগারে যাওয়ার আগে দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন। বিশেষ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ও হামলা-মামলা নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করতেন রিজভী।
এছাড়া, রিজভী আহমেদের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুন বলেন, রিজভী আহমেদ বিএনপির একজন শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় নেতা। তাকে আমরা জেলের তালা ভেঙে এনেছি। সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তার সব মামলায় জামিন হওয়ার পর ও জোরকরে এই কয়েক দিন। ইচ্ছা করে জেলে আটকে রেখেছে।
তিনি বলেন, রিজভী আহমেদ এ দেশের অন্যতম একজন নেতা। তাকে সকল শ্রেণির মানুষ পছন্দ করে শুধু সরকার অপছন্দ করে। রিজভী ভাইয়ের জামিন আমরা বেশ আনন্দিত।