বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া অনুষ্ঠিত দিনভর ভোটার বিহীন নির্বাচন শেষে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ বেসরকারিভাবে বিজয় ঘোষণা করা হয়েছেন।
নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ পেয়েছেন মাত্র পাঁচ হাজার ৮৭ ভোট। তার প্রতীক ছিল মোমবাতি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এ ফল ঘোষণা করেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে স্থাপিত ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ আসনের ১৯০ কেন্দ্রে মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ জন। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৭৫ হাজার ৩০৫ জন। শতাংশের হিসাবে যা দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
ঘোষিত ফলাফলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চেয়ার প্রতীকে এক হাজার ৮৬০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী কামাল পাশা আম প্রতীকে ৬৭৩ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮০ ভোট।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সংসদীয় এ আসনটির ১৯০ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এ উপ-নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। শহরের চেয়ে অপেক্ষাকৃত গ্রামে ভোট পড়েছে বেশি। তবে নির্বাচনে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন নারী ভোটার রয়েছে।
এ উপ-নির্বাচনে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয়পার্টিসহ প্রধান প্রধান বিরোধী দলগুলো অংশ না নিলেও নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নোমান আল মাহমুদ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী কামাল পাশা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী।
