ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ফাইল ছবি।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা) একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ায় তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।’

এর আগে শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কিছু মেডিকেল টেস্ট ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

২০২০ সালে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি প্রধান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর শনিবার রাতে মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয় এবং তারা বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পরামর্শ দেন।

আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে ভর্তি

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কিছু পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি এবং মেডিক্যাল বোর্ড আজ (রবিবার) সন্ধ্যায় রিপোর্টগুলো পর্যালোচনা করতে এবং তার চিকিৎসার পরবর্তী পন্থা নির্ধারণ করতে আবার বসবে। গতকাল (শনিবার) তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মেডিকেল বোর্ড তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।’

জাহিদ জানান, সকালে মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন।

হাসপাতালে ভর্তির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের আগের রোগের পাশাপাশি নতুন কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা জরুরি ছিল।

চিকিৎসক বলেছেন,‘মিডিয়ায় রোগীর অসুস্থতা নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। আমি শুধু বলতে পারি তিনি হার্ট, লিভার এবং কিডনির জটিলতা সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন… তাদের মধ্যে কোন কোনোটির একটু অবনতি হয়েছে। তাই চেক-আপ এবং চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।’

জাহিদ বলেন, কেবিনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সরা খালেদা জিয়ার যথাযথ যত্ন নিচ্ছেন।

খালেদা জিয়া কতদিন হাসপাতালে থাকতে পারবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করবে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও তার শারীরিক অবস্থার ওপর। তাই এ মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না।

জাহিদ জানান, স্থানীয় চিকিৎসক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন চিকিৎসক এবং খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন।

খালেদা জিয়ার আরেক পুত্রবধূ ও প্রয়াত ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান শিঁথিও হাসপাতালে তার সঙ্গে রয়েছেন।

৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি একই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যান। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে খালেদা ছয়বার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print