
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এবং সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর এক যৌথ বিবৃতিতে মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপি,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের জেলহাজতে প্রেরণ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আজ সোমবার রাতে দেয়া বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, চট্টগ্রাম মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, নগর সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম খান, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, নগর বিএনপির সাবেক হকার বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাতেন,পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, চকবাজার থানা যুবদলের আহবায়ক মোঃ সেলিম, পাঁচলাইশ থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোহাম্মদ শফি, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ সবুজ, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তারেকুর রহমান জনি, থানা যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম, মোঃ হানিফ, রায়হানসহ ৩২ জন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল নেতাদের উচ্চ আদালতের জামিন থাকা সত্ত্বেও নিন্ম আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। এই অবৈধ সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। হয়রানির উদ্দেশ্যে তাদেরকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। অবিলম্বে নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।
বিবৃতি নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে এক দলীয় শাসন চলছে।বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হযরতে প্রেরণ করছে। সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। জুলুমবাজ সরকার থেকে রেহাই পেতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই।আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।
নগর যুবদলের সভাপতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ :
সাবেক ছাত্রদল নেতা জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, চট্টগ্রাম মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, নগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, নগর বিএনপির সাবেক হকার বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাতেন, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, চকবাজার থানা যুবদলের আহবায়ক মোঃ সেলিম, পাঁচলাইশ থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোহাম্মদ শফি, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ সবুজ, মহানগর যুবদল নেতা মো: ইফাজ খাঁন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তারেকুর রহমান জনি, কোতোয়ালী থানা যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম, চকবাজার থানা যুবদল নেতা মোহাম্মদ হানিফ, আরিফুল ইসলাম আরিফ, মোহাম্মদ হালিম, মোহাম্মদ হাসান, রায়হান ও সদরঘাট থানা যুবদল নেতা আবদুল মান্নানসহ ৩৭ জন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল নেতার উচ্চ আদালতের জামিন নিন্ম আদালত নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার তার আজ্ঞাবহ পুলিশ ও অধীনস্ত বিচার বিভাগ দিয়ে যতই অপচেষ্টা চালাক আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোট নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে বাংলাদেশের যুব সমাজ তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে। সারা বিশ্ব ভ্রমণ করে ইতিহাসে নিকৃষ্টতম স্বৈরচার শেখ হাসিনা কোথাও ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি না পেয়ে অতীতের ন্যায় ভোট ডাকাতির পথ সুগম করার লক্ষ্যে আবার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর কোন স্বৈরাচারের শেষ রক্ষা হয়নি। জনতার প্রতিরোধে স্বৈরাচারের মসনদ ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে। এমন কি স্বৈরচার পতনের পর তাদের সহযোগীদেরও একই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে। তিনি অবিলম্বে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু ও উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিমসহ বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেত্ববৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেন।