
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে অপহরণ করে নিয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক শারিরীক হেনস্তাকারী আওয়ামী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী ও পুলিশ কতৃর্ক মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের কঠোর শাস্তি দাবী করেছেন নুসরাতের মা কোহিনুর আক্তার। তিনি বলেন,আমার মেয়ের কোন দোষ নেই,তার দোষ সে রাজনীতি করে। রাত ৮ টায় এলাকার তার কর্মীদেরদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমি ঐখানে যায়। তখন দেখতে পায় কিছু ছেলে আমার মেয়েকে নির্যাতন করছে। তখন আমি তাদের বাধা দিলে তারা আমাকে মারধর করে। আমি ঐখান থেকে মিরসরাই থানা যোগাযোগ করার চেষ্টা ব্যর্থ হই। পরে তারা নির্যাতনের পর থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ মামলা দিয়ে কোটে চালান দেয়।আমি আমার মেয়ের নির্যাতনের বিচায় চাই।
আজ রবিবার দুপুরে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোহিনুর আক্তার এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, গত ১৪ জুন চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশে মিছিল সহকারে যোগদানের সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী বাকশালী সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতা কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত ভোটার বিহীন ফ্যাসিষ্ট সরকার আবারো গায়েবি মামলা দায়ের শুরু করেছে।
তারুণ্যের সমাবেশ যোগ দিয়ে নিজ বাসার ফেরার পথে মিরসরাই এলাকায় ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে ছাত্রলীগ কর্তৃক শারিরীক হেনস্তা করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হুদা সহ নেতৃবৃন্দের ঘর বাড়ি ভাংচুর রাউজান পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব এম, শাহ্জান সাহিল সহ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এসময় গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন,তারুণ্যের সমাবেশ শেষে রাতে নিজ বাসায় ফেরার পথে মিরসরাইয়ে ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাতকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি ঘরে আটকিয়ে নির্যাতর ও শারীরিক হেনস্তা করে। পরে জোরারগঞ্জ থানার মামলা নং ৩(১২)২২, জি আর নং ২০৭/২২ ধারা :- ১৪৩/৩০৭/৩২৫ সহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) তদসহ বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪ ধারা মামলায় দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে।
এছাড়া হাটহাজারীতে শ্রমিক লীগ নেতা সৈয়দ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে ২৬ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বাদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেনা বলে জানান।ঐ মামলায় ২৬ নং আসামী রেজাউল করিম রকি ও দিদারুল আলম দীর্ঘদিন থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে থাকলেও তাদের আসামী করা হয়েছে।শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক নগরীর ষোলশহর (২ নং গেইট) বিপ্লব উদ্যানে শহীদ জিয়ার নামফলকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়াও বিভিন্ন থানায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করে এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে যাচ্ছে।আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সমাবেশ বানচাল করার অপচেষ্টা করেও জনস্রোত ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত এখন।
তিনি অভিযোগ করেন, শুধু মিরসরাই, হাটহাজারী নয়, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের তান্ডবলীলা চলছে সন্দ্বীপ সীতাকুণ্ড রাউজানসহ বিভিন্ন এলাকায়। তিনি অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, পুলিশী হয়রানী গ্রেপ্তার মিথ্যা মামলা বন্ধের দাবী জানান, অন্যথায় কঠোর অন্দোলনের মাধ্যমে জবাব দিতে বিএনপি প্রস্তুব বলে হুসিয়ারী করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবে রহমান শামীম, নির্যাতিত ও কারান্তরিন ছাত্রদল নেত্রী নাদিয়া নুসরাত এর মা কোহিনুর আক্তার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব ছালাহ উদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, কর্ণেল ( অব) আজিমুল্লাহ বাহার, অধ্যাপক আজম খাঁন, এডভোকেট এম এ তাহের, আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আবু আহমেদ হাসনাতসহ অন্যান্য যুবদল ছাত্রদল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।