
প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা পুলিশের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও তার উপর হয়রানি মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ নেতৃবৃন্দ।
আজ রবিবার পরিষদের চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহ নেওয়াজ, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক নসরুল কাদির, এ্যাবের সম্পাদক প্রকৌশলী সেলিম জানে আলম, ড্যাবের সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, রোজিনার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগের পক্ষে উপাদান পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা সত্ত্বেও তার উপর হয়রানি, অমানবিক নির্যাতন অব্যাহত রাখা সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন। তদুপরি তার বিরুদ্ধে ঔপনিবেসিক আমলের ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেসি আইনে যে মামলা করা হয়েছে তা স্বাধীন বাংলাদেশে অচল। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে জনগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজা তুল কোবরা ও বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের ছাত্র মো. ইসমাইলের মুক্তি চেয়ে বলেছেন, ডিজিটাল আইনের লক্ষ্য হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের সুরক্ষা ও সুব্যবস্থা দেয়া, জনগণের নিরাপত্তা দেয়া নয়। প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইন সরকারের উদ্দেশ্য তাই। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার কোনভাবেই এমন নিমর্তনমূলক আইন প্রয়োগ করে একজন নারী শিক্ষার্থীর ব্যক্তি জীবন ও শিক্ষা জীবন ধ্বংস করতে পারে না। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে এ ব্যাপারে সকল সাংবাদিক সংগঠন ও পেশাজীবি সংগঠনকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।