
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার আলমগীরসহ ২২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানায় আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে জনৈক যুবলীগ নেতা মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ
এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফটিকছড়ি বিএনপি’র মিছিলে হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। আওয়ামী লীগ গত দেড় যুগ ধরে যা করছে তার ব্যতিক্রম এখনো হয়নি। ফটিকছড়িতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। শান্তিপূর্ণ ফটিকছড়ি এখন বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে। বিবৃতিদাতারা বলেন, গত ১৫ জুলাই শান্তিপূর্ণভাবে সারোয়ার আলমগীরের নেতৃত্বে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সেই শোভাযাত্রায় সশস্ত্র হগামলা চালায়। শুধু তাই নয়, হামলার পর তারা বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বাসায় হামলা চালাচ্ছে, যা পৈশাচিক বর্বরতার শিকার। শুধু তাই নয়, তারা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছে। হামলার পর স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। অথচ ঘটনার কয়েকদিন পর বিএনপি’র বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে ভুজপুর থানা প্রশাসন। এছাড়া আওয়ামী লীগের নির্দেশে ভুজপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় মহড়া দিচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী দুর্বৃত্তরা ভুজপুরে আরেকটি ট্রাজেডি সৃষ্টি করার প্রয়াস চালাচ্ছে। বিবৃতিদাতারা অবিলম্বে ফটিকছড়িতে সন্ত্রাস ও নির্যাতন বন্ধ এবং নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র আক্রমন বন্ধের দাবিয়ে জানিয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন- বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহ নেওয়াজ, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক নসরুল কাদির, এ্যাবের সম্পাদক প্রকৌশলী সেলিম জানে আলম, ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সভাপতি ডা. জসিম উদ্দিন।