
জেলার সাতকানিয়া বন্যার পানিতে নৌকা ডুবে একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৪ নিখোঁজের ২৪ ঘন্টার মাথায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ বাকি ৩ জনের খোঁজে তল্লাশী করছে স্থানীয় জনগণ ও ফায়ার সার্ভিস।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাতকানিয়া জামিরজুরী রেললাইন ব্রিজ এলকায় ৪ বছর বয়সী শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৮ আগষ্ট) বিকেলে উপজেলার দক্ষিণ চরতী, ৭ নং ওয়ার্ড থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার সময় ৮জনকে বহনকারী একটি নৌকা ডুবে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ৪ জন হলেন- আব্দুর রহিম (৪৫), মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (৩), জান্নাতুল ফেরদৌস (৪), সানজিদা আক্তার ((৪)।
চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুহুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নারী শিশু সহ ৮ জন নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। ৪ জন তাৎক্ষনিক উদ্ধার হলেও ৩ শিশু সহ ৪জন নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে আজ বিকেলে এক শিশুর লাশ পাওয়া যায়। বাকী ৩ জনের খোঁজে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় বিস্তারিত খবর পাচ্ছি না।
স্থানীয সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দিনের অতি বৃষ্টি পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যার মধ্যে নিজ এলাকা চরতির অইন্যার পাড়া, নুর হোসেন কোম্পানি বাড়ি থেকে নৌকা করে সন্তানদের নিয়ে একটি পরিবারে ৫ সদস্যসহ ৮ জন পাশবর্তি সুইপুরা যাওয়ার সময় নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ৪ জন নিখোঁজ হয়।
উল্লেখ্য কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টি আর ঢলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লোহাগাড়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশসহ বিভিন্ন উপজেলা পানিতে তলিয়ে যায়। সাতকানিয়ার কেরানিহাট থেকে হাশিমপুর পর্যন্ত সড়ক ডুবে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ বুধবারও ওই সড়কে যান চলাচলের মত পরিস্থিতি হয়নি। লোকজন পানিতে হেঁটে কিংবা রিকশা ভ্যানে যাতায়াত করছেন। লাখ লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।