
চট্টগ্রামে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির ও মসল্লিদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। সংঘর্ষের সময় পুলিশ ৩০ জনকে আটক করেছে।

আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) আছরের নামাজের পর কাজীর দেউড়ি ও আলমাস সিনেমা হলের সামনে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে কাজীর দেউড়ি মোড়, ওয়াসার মোড়, জিইসি মোড় ও লালখান বাজারসহ নগরের বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ মাওলানা সাঈদীর জানাজা পড়তে আসা মুসল্লিদের উপর লাঠিচার্জ ও কাদানো গ্যাস ছেড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অবশ্য এর আগেই দুপুরের দিকে জামায়াতের পক্ষ থেকে বাদ আছরের জমিয়তুল ফালাহ বিশ্বমসজিদের মাঠে আহবান করা গায়েবানা জানাজা স্থগিত করা হয় বলে জানায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নগরের ওয়াসা মোড় এলাকায় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাইদীর গায়েবানা জানাজা নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ জমিয়তুল ফালাহর প্রধান গেট আটকে দিলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এরপর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সিএমপির কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, জানাজার অনুমতি ছাড়া জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের আশপাশে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা বিকেল থেকে জড়ো হতে থাকে। তারা অতর্কিত পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আমাদের পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে সেটা প্রতিরোধ করেছি। পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবিরের ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।