
জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে সংর্ঘষের ঘটনায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২৫০ জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সংঘর্ষের সময় গ্রেপ্তার হওয়া ৪০ জনকেও আসামী করা হয়।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) নগরীর কোতোয়ালী থানায় মামলা দুটি দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নগরের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে আলমাস মোড় পর্যন্ত জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা শুরু করলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়। এতে বিক্ষুব্ধ অবস্থায় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ৫ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। তিনি বলেন, এই ঘটনায় ৪০ জনকে আটক করা হয়। পরে আটক ৪০ ও পলাতক ২৫ জনসহ অজ্ঞাত ২৫০ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ওসি জাহেদুল কবীর বলেন, গ্রেপ্তার ৪০ জনকে দুপুরের মধ্যে আদালতে তোলা হয়েছে। আদালতের কাছে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের সামনে জড়ো হতে থাকেন জামায়াত-শিবিরের নেতার্মীরা।। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন জানাজার অনুমতি না দিয়ে মসজিদের দুইটি ফটকই বন্ধ করে দেয়া। এতে। প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানো গ্যাস ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। জানাজা পড়তে না পেরে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ এসময় ৩০ জন এবং পরে আরও ১০ জনকে আটক করে।