
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন কায়দা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করেছে। কিন্তু এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক সময় আওয়ামী লীগের দাবি ছিল। বিগত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামীলীগের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। কিন্তু আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু না হলে দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক মহল মেনে নেবে না। সমগ্র দেশের মানুষ এখন এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে জেগে ওঠেছে। সরকারের বিদায়ের ধ্বনি বাজতে শুরু করেছে। এই ধ্বনি ইতোমধ্যে সচিবালয়, গণভবনে পৌঁছে গেছে। দেশের মানুষ দাবানলের মত ফুঁসে উঠছে। অবিলম্বে দেশের জনগনের দাবি মেনে পদত্যাগ করুন। আবারো একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা করা হলে শুধু বাংলাদেশ নয় বিদেশেও আশ্রয় পাবেন না।
তিনি আজ রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর তিনপুলের মাথায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম অভিমুখে বিএনপি’র রোড মার্চ সফল করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরন পূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে নগরীর গোলাম রসুল মার্কেট, তিন পোলের মাথা, রিয়াজ উদ্দিন বাজার, স্টেশন রোড় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে তাকে আজ গৃহবন্দি করে রেখেছে। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। খালেদা জিয়াকে আটক রাখার মূ্ল কারন তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখা। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিন। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে মানুষ যদি রাস্তায় নেমে পড়লে যে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে তার দায় সরকারকে নিতে হবে। তিনি আগামী ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম অভিমুখে বিএনপি’র যে রোড মার্চ আসবে তা সফল করতে দলের নেতাকর্মী, ব্যবসায়ী সহ সর্বস্তরে জনসাধারনকে আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ।
লিফলেট বিতরন কালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মন্নান, সদস্য হারুন জামান, মোহাম্মদ আলী, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কেন্দ্রীয় যুবদলে সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, সাবেক বিএনপি নেতা আবদুল বাতেন, এ কে এম পেয়ারু, মো. রফিকুল ইসলাম, আবদুল হাই, মো. আলমগীর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খাঁন, এস এম মফিজ উল্লাহ, আলাউদ্দীন আলি নূর, সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, জসিম মিয়া, দিদারুল আলম, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, আলি মর্তুজা খান, মো. সেলিম, জমির উদ্দিন নাহিদ, আমিন উল্লাহ, নূর হোসেন উজ্বল, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, মোহাম্মদ হাসান, আবদুল্লাহ আল জিতু, মো. বেলাল, আকরাম হোসেন, সাইফুল ইসলাম দিপু, মাঈনুদ্দিন খাঁন রাজিব, শাহরিয়ার আহমেদ, এন মোহাম্মদ রিমন, আবু সালেহ আবিদ, সাইদুল ইসলাম ফয়সাল, মো. লিটন প্রমূখ।