
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে চট্টগ্রাম থেকে যোগ দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রামের ১২ জন নেতাকর্মী।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টার মধ্যে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশেপাশের এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বরত ইদ্রিস আলী।
তিনি জানান, সন্ধ্যায় কেন্দ্রিয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় পলওয়েল মার্কেটের সামনে থেকে চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আজমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এছাড়া রাত ৯টার দিকে গ্রেপ্তার হয়েছেন খুলশি থানা বিএনপি নেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, চাঁন্দগাও থানা বিএনপি নেতা মোহাম্মদ ইয়াছিন, মো, জাবেদ হোসেন, গোলাপুর রহমান, মো. হানিফ, মো রাসেল, মো. মনসুর, পাহাড়তলী থানা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুর হোসেন নুরু।
রাতে পাঠানটুলী ওয়ার্ডর বিএনপি নেতা জাবের আহমদ ও মো. আবদুল নবীকে ঢাকা গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে ৮ নং শুলকবহর ওয়ার্ড যুবদল যুগ্ন-আহবায়ক জাবেদ হোসেন ও পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সদস্য মো. হাসান তোফা।
এদিকে চট্টগ্রামেও পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান ও তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে। সন্ধ্যায় পাহাড়তলী থানা পুলিশ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক নেজাম উদ্দিন বুলুকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডবলমুরিং থানা পুলিশ সরাইপাড়া থেকে মো. শরিফ ও মো. হেলালকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানায় বিএনপি নেতারা।
তাছাড়া মোহরা ওয়ার্ড থেকেও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয় অন্তত ৫ নেতাকর্মী। শুক্রবার রাতে বিভিন্ন নেতাদের বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন ও সদস্য সচিত আবুল হাসেম বক্কর এক বিবৃতিতে ঢাকার মহাসমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় এলাকা থেকে ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের বিনা কারণে গ্রেপ্তারে তীব্র নিন্দা জানান জানান।