
বিএনপির ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রাম মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীরা। অবরোধকে কেন্দ্র করে দিনভর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পুলিশ বিএনপির ১০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজির দেউরী ও অসকার দিঘির পাড় এলাকায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে, সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেলের পূর্ব গেইট ও পবর্তক মোড় এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ও সদস্য সচিব বেলায়েত হোসেন বুলুর নেতৃত্বে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল, সকালে নগরের সিটি গেইট এলাকায় ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপি মিছিল, পাহাড়তলী বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমনের নেতৃত্বে এবং সিটি গেইট এলাকায় উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মিছিল করে, পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট এলাকায় থানা যুবদলের আহবায়ক মো. আলী সাকীর নেতৃত্বে যুবদলের নেতাকর্মীরা ও বাকলিয়া থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. মুছার নেতৃত্বে কালামিয়া বাজার ও রাহাত্তার পুল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে যুবদলের নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও চান্দগাও আরকান সড়কে সিএন্ডবি পেট্রোল পাম্প এলাকায় ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড যুবদল ও ২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে বড়পুল এবং দুপুরে ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আগ্রাবাদ অ্যাক্সেস রোডে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করে।তারমধ্যে চাঁন্দগাও থানা ছাত্রদলের সদস্য রনি হোসেন ও চাঁন্দগাও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দীনকে চাঁন্দগাও থানা পুলিশ, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ সন্ধ্যায় চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আবদুল গফুরকে কাপাসগোলায় তার নিজ দোকান থেকে গ্রেফতার করেছে। পতেঙ্গা থানা পুলিশ গতরাতে ৪১নং ওয়ার্ড থেকে পতেঙ্গা থানা ছাত্রদল নেতা মো. ফাহিম ও ৪০নং ওয়ার্ড থেকে মো. ফোরকান ও মো. নোমানকে তাদের বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে, ৩৮নং ওয়ার্ড বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক মো. খান ও ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. হিরাকে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
নগরীতে যুবদলের মিছিল ও সমাবেশ :

সরকারের পদত্যাগে একদফা দাবিতে দেশব্যাপী টানা ৪৮ ঘন্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে নগরীর পাহাড়তলী বাজার ডিটি রোড, বাকলিয়া কালামিয়া বাজার এক্সেস রোড, পাঁচলাইশ বিবিরহাট, ৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড আরাকান সড়কের সিএন্ডবি পেট্রোল পাম্প রোড, ২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড বড়পুলে ও ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড সিটি গেইট এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও সমাবেশ করেছে মহানগর ও থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা।
মিছিল শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের পদত্যাগসহ গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে ২য় দফায় টানা ৪৮ ঘন্টা শান্তির্র্পণভাবে নজিরবিহীন অবরোধ পালনের মাধ্যমে জাতি ফ্যাসিবাদকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আওয়ামী দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জাতি ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেতে চায়, দেশে আর কোন পাতানো নির্বাচন ও একদলীয় বাকশালী নির্বাচন জাতি মেনে নিবে না।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারান্তরীণ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
বক্তরা আরো বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে কারাগারে রেখে দেশে একতরফা নির্বাচনের কোন স্বপ্ন জাতি পূরণ হতে দিবে না। অবিলম্বে বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন ও দেশব্যাপী গণগ্রেফতার বন্ধ করুন। নেতৃবৃন্দ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলন সফল করার জন্য চট্টগ্রামবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ আলী সাকি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, মোঃ ওমল ফারুক, সম্পাদক মহিউদ্দিন মুকুল, হামিদুল হক চৌধুরী, পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খাঁন রাজু, বাকলিয়া থানা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মুছা, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন আহমেদ, মোহাম্মদ নাছির, ৭নং ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন, সোলাইমান হোসেন মনাসহ যুবদলের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।