সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী, এম আর সিদ্দিকীর ২৫তম মৃত্যু বাষির্কী আজ ৬ ফেব্রুযারী।
তাঁর মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষ্যে নেয়া হয়েছে দিনভর নানা কর্মসূচি। এম.আর সিদ্দিকীর নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে কবর জিয়ারত ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, খতমে কোরআন, মিলাত, দোয়া ও স্মরণসভা এবং কলেজের তিনদশক পূর্তি স্মারক প্রতীতি’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া জানান, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সীতাকুণ্ডের সাংসদ আলহাজ্ব দিদারুল আলম, বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, এসকে এম জুট মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালনক অধ্যাপক ফয়সাল সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সাফিয়া সুলতানা আজিম, দৈনিক আজাদীর চীফ রিপোর্টার হাসান আকবর, কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চেীধুরী উপস্থিত থাকবেন।
সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভুইয়া। এছাড়াও সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম লায়ন্স ক্লাব, সীতাকুণ্ড অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, রোটারিয়ানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন মরহুমের রহমতনগর কবরস্থানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন।
পুরো নাম মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী যিনি সারা দেশব্যাপী এম আর সিদ্দিকী নামে সর্বত্র পরিচিত। ১৯২৫ সালের ১ মার্চ সীতাকুণ্ড থানার মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমতনগর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন করেন। এম.আর সিদ্দিকী জাতীয় রাজনীতিতে ছিলেন সফল ব্যক্তিত্ব্। ১৯৬২ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। সীতাকুণ্ড থানা থেকে এম.আর সিদ্দিকীর পূর্বে কেউ পাকিস্তানের জাতীয় বা প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হননি। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী রূপে যোগদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তাঁকে বাংলাদেশের লায়নিজম চর্চার জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। জীবনে তিনি বহু শিল্প কল-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে পড়ে তোলেন।
সীতাকুণ্ডের মধ্যাংশে কোন কলেজ না থাকায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লতিফা সিদ্দিকী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজ। এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ১৯৯২ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।