
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের প্রজন্ম লীগের সভাপতি মো. বাহাদুর খুনের ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। নিহত বাহাদুর কোলাগাঁও বক্সিমিয়া মেম্বারের বাড়ির মৃত রফিক আহমেরদ ছেলে।
আজ শনিবার নিহতের ছোট ভাই মো. মোরশেদ বাদী হয়ে কোলাগাঁও ইউনিয়ন সৈনিক লীগের সভাপতি ও জবেল হোসেনের পুত্র আবদুল মান্নান প্রকাশ মান্নাকে প্রধান আসামী করে এ মামলা দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যে মামলার আসামীরা এলাকাছাড়া বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এদিকে গত শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়িতে বাহাদুরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও কোলাগাঁও ২নং ওয়ার্ডের নুরুল আলমের পুত্র শাহীন উল্লাহ শাহীন, আবদুল মান্নান প্রকাশ মান্নার সহোদর এবাদুর রহমান লিটন ও আবদুল হান্নান, দোলা মিয়ার পুত্র নজরুল ইসলাম লেদু, দ্বীপ কালামোড়লের মো. সায়মন প্রকাশ পেশাদারী কিলার।
এব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি শেখ মুহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, ৬ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে নিহত বাহাদুরের ছোট ভাই মোর্শেদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। খুব দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় বাড়িতে ফেরার পথে উপজেলার কোলাগাঁও সিরাজশাহ মাজার গেইট এলাকায় চুরিকাঘাতে বাহাদুর খুন হয়। এ ঘটনায় বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের দাবী, জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাসি কার্যকর করতে হবে।