ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই উইনারপাড় এলাকায় লিখন মিয়া (২৭) নামে এক ক্যাবল অপারেটরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নিজের প্যান্টের বেল্ট দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় একই গ্রামের কিশোরীর বসতঘরের জানালার নিচ থেকে লিখনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রেমিকার সঙ্গে অভিমান করে এই আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা পুলিশের।
স্থানীয়রা জানান, রাতে লিখন আত্মহত্যা করেছে বলে তার স্বজনদের ফোনে জানায় কিশোরীর পরিবার। পরে নিহতের স্বজনরা গিয়ে লিখনের গলায় প্যান্টের বেল্ট প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পায় এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
কিশোরী ও তার পরিবার জানায়, গত দুই বছর ধরে লিখন মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মেয়েটি ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এর আগেও তিনবার বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল লিখন। বৃহস্পতিবার রাতেও মেয়েটির বাড়িতে এসে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে এবং তার প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় হঠাৎ করে ঘরের জানালার বাহিরের প্রান্তে প্যান্ট থেকে বেল্ট খুলে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে। কিছুক্ষণ পর মেয়েটি লিখনের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে গৃহস্থালি দাঁ দিয়ে বেল্টটি কেটে দেয় এবং নিহতের পরিবারকে মুঠোফোনে বিষয়টি অবহিত করে বলে জানায় মেয়েটির পরিবার।
তবে নিহতের পরিবারের দাবি, কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে লিখনকে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে তবে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মেয়ে ও তার মাকে থানায় আনা হয়।