নৌপরিবহন এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেেছন-চট্টগ্রামে শিপিং কর্পোরেশনের দুইটি জাহাজে পর পর অগ্নিকাণ্ডে সন্দেহজনক কিছু আছে কিনা বা কী হয়েছে সে ব্যাপারে অনুমানভিত্তিক কোনো কথা বলতে চাই না। আপনারা অনুসন্ধান পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামে বিএসসি কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের পর লাইটারিংয়ের জন্য বিএসসির এমডি তাৎক্ষণিক জাহাজ ভাড়া করেছেন। একটি কথা বলে রাখি, ঘটনা ঘটার আগেই এমডি বলেছিলেন, বাংলার সৌরভের শেষ ট্রিপ বা সেবা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঘটনা ঘটে গেছে। আমার ভয় ছিল, যদি এ তেল ব্লাস্ট হলে চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেত। আল্লাহর কাছে শোকর করছি। নেভি, কোস্টগার্ড, পোর্ট অথরিটি দ্রুত সময়ে গিয়ে এ রকম আগুন নিভিয়েছে। নেভাল চিফ ভোর ৫টায় রিং করে জানিয়েছেন সম্পূর্ণ সহযোগিতা দিয়েছেন। নেভাল কমান্ডার, বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সারাক্ষণ কথা হয়েছে। সাড়ে চারটায় আমাকে বলেছে সবাইকে রেসকিউ করা হয়েছে। একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। আমি পুঙ্খানুপুঙ্খ জানি কারা সহযোগিতা করেছে। প্রফেশনালি অ্যাকশন হয়েছে। এত বড় দুর্ঘটনা, অনেক কিছু হতে পারতো। বিএসসির লোকজন বলেছে, এক হয়ে কাজ করবে। এ সংস্থার উন্নতি করবে। উনাদের প্ল্যান ও আমার ইচ্ছে, বিদেশি যারা আসবে তাদের বলবো জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করো। কিছু দিন আগে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বলেছি, পাট ও জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগ করতে।
তিনি বলেন, জাহাজে আগুন লেগেছে তাই কিছু সেফটির বিষয় দেখতে হবে। এরপর বাংলার সৌরভ থেকে অপরিশোধিত তেল স্থানান্তর করা হবে। বিপিসিকেও বলেছি, টার্মিনালের ক্যাপাসিটি বাড়ান।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন- বিএসসির ৫টি জাহাজে প্রচুর লাভ হচ্ছে। একটিও বাংলাদেশে নেই। জ্যামাইকাসহ বিভিন্ন দেশে এসব জাহাজ আছে। বিএসসিতে জাহাজের বহর আরও বড় হবে ইনশাআল্লাহ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিছু জাহাজ দরকার। এ জাহাজ দিয়ে টাকা আয় করতে হবে। আমরা যতদিন আছি, একটা কাজ করতে পারি সেটা হচ্ছে দুর্নীতি কমানো।
চীন থেকে চারটি নতুন জাহাজ সংগ্রহ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি টিম কাজ করছে দাম নির্ধারণের জন্য। আমরা দাম কমানোর চেষ্টা করছি। কে টাকা নিয়ে নিয়ে গেল তা বের করা মুশকিল। কাউকে টাকা দিয়ে থাকলে কীভাবে বের করবো! ডলার ছিল ৯০ টাকা। তদন্ত হবে। প্রকল্প বন্ধ থাকলে জাহাজ তো পাবো না। এ মন্ত্রণালয়ে অনেক প্রকল্প হচ্ছে, এসব কেন হচ্ছে? প্রকল্প শেষ পর্যায়ে। এখন বন্ধ করে দিলে যে টাকা অপচয় হয়েছে তা আপনার, আমার। গলায় কাঁটা লেগেছে, গিলতে হবে। আমি তো বলেছি, চুরির মহাসমুদ্র না, প্রশান্ত মহাসাগর। আমাদের কাছে যে ডকুমেন্ট আছে তা দুদকের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। দুদক তদন্ত করবে। একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি হাসতে হাসতে বললেন, উনার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। আপনি কখনো স্বপ্ন দেখেছেন ৪০০ কোটি টাকা।আমি তো দেখিনি।