
চট্টগ্রামে পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পরিবহন শ্রমিকরা। মহানগরী এবং জেলায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে হঠাৎ করে যানবাহন চলাচনা না করা এবং বিভিন্ন স্থানে যান চলাচলে বাধা দিয়ে অঘোষিত ভাবে ধর্মঘট পালন করছে পরিবহন শ্রমিকরা।
জানাগেছে, সড়ক দুর্ঘটনায় মিশুক মনির ও তারেক মাসুদসহ ৫ জন নিহতের মামলায় বাস চালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন ও ট্রাক চালক মীর হোসেন মিরুর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে শুরু হয় দেশব্যাপী অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু করে শ্রমিকরা।

এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সকালে অফিসের উদ্দ্যেশে এবং স্কুল কলেজে যেতে ঘর থেকে বেরিয়ে এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে সড়কে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জানাগেছে, মহানগরীর পাহাড়তলী, অলঙ্কার, সিটি গেইট, পতেঙ্গা, কাটগড়, বহদ্দার হাট, জেলার হাটহাজারী, নাজিরহাট, ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া লোহাগাড়াসহ পুরো চট্টগ্রামে পরিবহন

বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ধর্মঘটের কারণে দুর্ভেোগের কথা জানিয়েছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহা সড়কের মিরসরাইও পরিবহণ ধর্মঘট চলছে। পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা এ ধর্মঘটের কারণে যানবাহন সংকটে দেশের অন্যান্য বিভাগ-জেলা-উপজেলার মতো প্রায় অচল হয়ে পড়েছে মিরসরাইও।
নগরীর কাটগড় এলাকার বাসিন্দা দিলশাদ দিয়া জানান, সকাল সাড়ে ৯টা অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে গাড়ির জন্য এক ঘন্টা যাবত অপেক্ষা করছি রাস্তায়। শ্রমিকরা কোন বাস টেম্পু সিএনজি চলতে দিচ্ছে না। শত শত মানুষ গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে। তবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ এসে যানবাহন চলাচলে বাধাদানকারীদের ধাওয়া দিয়ে এলাকা ছাড় করায়। কিছু কিছু গাড়ি চলাচল শুরু করেছে।
আন্ত:জেলা বাস মালিক সমিতি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন চৌধুরী পাঠক ডট নিউজকে জানান, এবজন চালককে দণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে গতকাল রাতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।