নিহত এসআই আকরামের স্ত্রী বনানী বিনতে বশির বন্নি’র সাথে পরকিয়ার জের ধরেই বাবুল আক্তারের যোগসাজসে এসআই আকরামকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন আকরামের বোন মোছাম্মৎ জান্নাত আরা পারভীন রিনি।
আজ দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের কাছে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
পরে ডিবি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে নিহত আকরামের বোন রিনি মিতু হত্যা এবং আকরাম হত্যা দুটোই পরকিয়ার কারণে করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করেন।
এর আগে সকালে সিএমপি’র গোয়েন্দা অফিসে আসেন নিহত পুলিশের এস আই আকরামের বোন রিনি এবং ভাগ্নি ডলি। প্রথমে তারা এসে কামরুজ্জামানের সাথে দেখা করে বাইরে চলে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পূনরায় ডিবি কার্যালয়ে আসেন তারা। একঘন্টা ধরে তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পর তারা দুজন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
তদন্ত কর্মকর্তার সাথে কথা বলার পর আকরামের বোন রিনি সাংবাদিকদের বলেন, আকরাম হত্যার পর বাবুল আক্তারের প্রভাবের কারণে তারা মামলা করতে পারেননি। ঘটনাটি তারা তখন সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দিয়েছিল। আদালতের মামলাও বাবুল আক্তারের প্রভাবের কারণে বাবুল আক্তারের নাম দেয়া সম্ভব হয়নি। দেশের বাইরে থেকেই তিনি আকরাম হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া আকরাম নিহত হওয়ার পর বন্নি বাবুলর আক্তারের মাগুরার বাড়ী রয়েছেন গত ২ বছর থেকে।
রিনি বলেন, আমরা আকরাম হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। তিনি বলেন বন্নি এবং বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। আকরামকে হত্যার পর বন্নিকে হত্যার মধ্য দিয়েই বন্নির পথ পরিস্কার করেছে বলে দাবী করেন আকরামের ভা্িগ্ন ডলি। ডলি বলেন আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করছি।
এদিকে মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসি কামরুজ্জামান বলেছেন আকরামের বোন কোন লিখিত অভিযোগ দেননি। কিছু তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে সে গুলো প্রকাশ করা যাচ্ছেনা। প্রয়োজনের তাগিদে বন্নিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
