ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

হাইকোর্টে জামিন নিতে গিয়ে চট্টগ্রাম আ’লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী কানা কুদ্দুসের কান্ড!

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

সন্ত্রাসী কসাই কুদ্দুস (চশমা পরা), পাশে তার আইনজীবি আবদুল বাসেত মজুমদার।

জামিন না পেয়ে হাইকোট থেকে পালিয়ে গিয়ে একজন সিনিয়র আইনজীবিকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছেল চট্টগ্রামে বায়োজিদ এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস প্রকাশ কানা কুদ্দস।

একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় চট্টগ্রামের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল কুদ্দুস প্রকাশ কানা কুদ্দস আগাম জামিনের জন্য গিয়েছিলেন হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।

কিন্তু জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। আদালতের আদেশ সম্পর্কে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে আইনজীবি আব্দুল বাসেত মজুমদারের সহযোগিতায় আদালত প্রাঙ্গন থেকে পালিয়ে যায় এ সন্ত্রাসী। এর মাসূল হিসেবে আব্দুল বাসেত মজুমদারকে এজলাশ কক্ষে আটকে থাকতে হয়েছে প্রায় আধঘণ্টা। শেষ পর্যন্ত আসামিকে আবার হাজির করে  পুনরায় পুলিশের জিম্মায় দিয়ে আইনজীবী সমিতির নেতাদের হস্তক্ষেপে ছাড়া পান তিনি।

মঙ্গলবার (০৬ জুন) বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ওই বেঞ্চে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল কুদ্দুস একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় আদালতে আগাম জামিন নিতে এসেছিল। কিন্তু আদালতে তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দায়িত্বরত পুলিশ আসামিকে কারাগারে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার সময় আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার পুলিশকে বিভ্রান্ত করে শীর্ষ এই সন্ত্রাসীকে ছাড়িয়ে নেন এবং আদালত চত্বর ত্যাগ করতে বলেন।

এ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের নজরে এলে আদালত বাসেত মজুমদারকে তলব করেন। সঙ্গে সঙ্গে বাসেত মজুমদার এজলাশ কক্ষে হাজির হলে কোর্ট তাকে প্রথমে ভর্ৎসনা করে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে পুলিশের জিম্মায় দিতে বলে।
ওই আসামিকে পুলিশের জিম্মায় দিতে ব্যর্থ হলে মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কনিষ্ঠ আইনজীবী রেজাউল করিমকে আসামির বদলে কারাগারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেন আদালত।

এ পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন এবং সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালত কক্ষে এসে বাসেত মজুমদারের পক্ষে ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি আসামিকে হাজির করারও প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রায় আধাঘণ্টা পর বাসেত মজুমদার আসামিকে ডেকে এনে আদালত পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরপরই এজলাস কক্ষ থেকে বের হওয়ার অনুমতি পান তিনি। পরে আদালত পুলিশ আসামি আব্দুল কুদ্দুস কসাইকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

মামলার বিররণ থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের বায়েজিত বোস্তামী থানার ব্যবসায়ী নাজিমুদ্দিনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১২ এপ্রিল বায়েজিত বোস্তামী থানায় শীর্ষ এই সন্ত্রাসীসহ ২৮ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এ ঘটনায় জামিন নিতে এসেছিলেন আসামি আব্দুল কুদ্দুস কানা।

মাদক ব্যবসায়ী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত কানা কুদ্দুস চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক।  কানা কুদ্দুস স্থানীয় যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাদল হত্যা মামলারও আসামি।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print