পল্লবীর ডিওএইচএসে এক সেনা কর্মকর্তার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে ছয়মাস ধরে কাজ করছিল টাঙ্গাইলের কেরামজালি গ্রামের শামীমা ইয়াসমিন (১৩)। কাজে টুকিটাকি ভুল হলে সেই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী আয়েশা লতিফ প্রায় প্রতিদিনই শামীমাকে মারধর করতেন। শনিবারও ডিম ভাজার সময় সেটি নষ্ট হলে আয়েশা লতিফ বেলুন দিয়ে পিটিয়ে শামীমা ইয়াসমিনের দুই চোখ জখম করেন। এছাড়া ঘরে আটকে রাখেন ঘরে।
অবশেষে রবিববার সকালে জানালা দিয়ে পালিয়ে পল্লবীর সাত্তার মোল্লা রোডে আসে শামীমা। জালাল নামে এক পথচারীর কাছে আকুতি জানায়, ‘আমাকে বাঁচান, আমাকে হাসপাতালে নেন।’
পথচারী জালাল বিস্তারিত জানার পর ওই কিশোরীকে পল্লবী থানায় নিয়ে যান। এরপর ওই কিশোরীকে চিকিৎসার জন্য পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে ওই কিশোরী জানায়, তাকে ছয়মাস ধরে মারধর করা হচ্ছিল। কারণে-অকারণে গৃহকর্ত্রী আয়েশা লতিফ তাকে প্রায়শই মারধর করতেন। নির্যাতনের ভয়ে সে জানালা দিয়ে পালিয়ে এসেছে।
হাসপাতালে আসা এসআই প্রবীর রঞ্জন ধর বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। ওসি স্যার মেয়েটিকে হাসপাতালে আনতে বলেছেন। আমি নিয়ে এসেছি, ওসি স্যার বিস্তারিত বলতে পারবেন।’
পল্লবী থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, ‘ওই কিশোরী লেফটেন্যান্ট কর্নেল তসলিমের বাসায় কাজ করত। যেহেতু কিশোরী ভুক্তভোগী। সে যাতে সকল প্রকার আইনি সুযোগ পাই আমরা তার চেষ্টা করব।’