ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্ত্রী হত্যা মামলায় এসপি বাবুল আক্তার আটক!

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

Babul-Akhter-2-sm20160605141054
স্ত্রী মিতুর সাথে বাবুল আক্তার। ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে নিহত মাহমুদা খানম মিতু’র চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার স্বামী ও এসপি বাবুল আক্তারকে ঢাকা থেকে পুলিশ চট্টগ্রামে নিয়ে গেছে। শনিবার ভোরে তাকে ডিবির একটি দল চট্টগ্রামে নিয়ে এসেছে বলে জানাগেলেও সিএমপি পুলিশের কোন কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করছেন না।

বাবুল আক্তারের পরিবার এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তবে দাপ্তরিকভাবে কোন পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করেন নি।

সূত্রে জানা গেছে- বাবুল আক্তারকে শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকার খিলগাঁও মেরাদিয়া এলাকার শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবুল আক্তারের পুলিশ নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বাবুল আক্তারের শশুর মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলছেন, শুক্রবার রাত ১টার দিকে তাদের বনশ্রীর বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় খিলগাঁও থানার ওসি মঈনুল হোসেন ও মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন।

এর পর থেকে বার বার চেষ্টা করেও বাবুল আক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা।

মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, তারা জানতে পেরেছেন পুলিশ বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামে নিয়ে গেছে।

এদিকে চট্টগ্রামের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এডিসি নাজমুলের নেতৃত্বে বাবুল আক্তারকে ডিবির একটি টিম ভোরে চট্টগ্রাম নিয়ে এসেছে।

এব্যাপারে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু যে থানা এলাকায় খুন হয়েছেন সে পাচঁলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। কিছু বলতেও পারবো না।”

উল্লেখ্য গত ৫ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকায় দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত ও গুলি করে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করে। এই ঘটনাটি চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। স্ত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে সর্বশেষ তথ্যে জানাগেছে, মিতু হত্যায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে আবু মুছা (৪৫) ও এহতেশামুল হক ভোলা (৩৮) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশের একটি ইউনিট। মুছাকে গত মঙ্গলবার সকালে চকবাজার এলাকা থেকে ও একইদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজাখালী গুলবাহার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছে এদের পরিবার।

পুলিশের একটি সুত্র জানিয়েছে, এরা দু’জনই এসপি বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। বাবুল আক্তারের বসবাস ও পরিবার সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা রয়েছে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ মনে করছে, কোনো পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অর্থাৎ ভাড়াটে খুনি হিসেবে তারা মিতুকে হত্যা করেছে। এজন্যই তাদের আটক করা হয়। শিগগিরই তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা ভোলা ও মুছাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

হয়তো এসব ব্যাপার নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বাবুল আক্তারকে নিয়ে আসা হয়েছে।

জানাগেছে রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা ডিবির একটি দল ঢাকায় বাবুল আক্তারের শশুরের বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায়। পরে রাত ১টার দিকে ডিবির এডিসি নাজমুলের নেতৃত্বে ডিবির একটি টিম বাবুল আক্তরকে নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

সর্বশেষ

সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে

নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ⦿ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি

চকবাজারের কুটুমবাড়িকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

বাকলিয়া এক্সেস রোড়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল কর্মী নিহত : আহত ১০

ঘূর্ণিঝড় মোন্থা’র প্রভাবে সারাদেশে ৫ দিন বৃষ্টি হতে পারে

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশকে গ্রেপ্তার

মৃত্যুপুরী রাউজান : ১৩ মাসে ১৬ খুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print