
চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন বাজার চোরাই মোবাইল বিক্রির ট্রানজিট পয়েন্ট। নগরী এবং জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাইকৃত মোবাইল এখানে এনে বিক্রি করে চোরের দল। রিয়াজুদ্দিন বাজারের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট এসব চোরাই মোবাইল সামগ্রী ক্রয় করে থাকেন।
চট্টগ্রামে খুলশী টাউন সেন্টারের কনকর্ড শপিং মল থেকে চুরি হওয়া ৬৭ টি মোবাইলসহ ৫ জন চোর এবং একজন ক্রেতাকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য বেরিয়ে আসে।
এ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া মোবাইল ক্রেতা আইয়ুব পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানায়।
সকালে নগরীর খুলশি থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আবদুল ওয়ারিশ জানান, গত ৫ জানুয়ারী রাতে নগরীর খুলশী টাউন সেন্টারের কনকর্ড শপিং মলের সিটিজি শপ ও মেট্রিক্স কমিউনিকেশনে চুরির ঘটনা ঘটে।
পর দিন দোকানের মালিক থানায় এ নিয়ে মামলা দায়ের করেন। এসময় দোকানের সাটার ও তালা কেটে ১০২ টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল সেট, ল্যাপটপ, নগদ টাকাসহ প্রায় ১৩ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে মাঠে নামে খুলশী থানার পুলিশ।
খুলশী থানার মাত্র কয়েকশ গজ দুরে অভিজাত এ শপিংমলে চুরির ঘটনায় টনক নড়ে পুলিশ প্রশাসনের। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া উপ পুলিশ পরিদর্শক ঈমাম হোসেন অনেকটা আদাজল খেয়েই মাঠে নামেন।
নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। প্রথমে এ মামলায় গ্রেফতার করা হয় এ ঘটনার প্রধান হোতা আবদুল্লাহ আল মামুন (২৮) কে।
মামুন এর আগে নগরীর সানমার ওশান সিটিতে চুরির মামলায় ১৩ মাস সাজা ভোগ করে সম্প্রতি মুক্তি পায়।
মামুনের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে চুরির সাথে জড়িত মো. ওসমান গনি (৪০), মো.রাসেল প্রকাশ জুয়েল প্রকাশ রানা সর্দার (২৫), মো.জাবেদ (২৮), মো.পারভেজ (২০) এবং চোরাই মোবাইল ক্রেতা আইয়ুব (৪৮) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর পর আইয়ুবের পাঁচলাইশ শুলকবহর আল মাদানী রোডের শাহী ম্যানসনের ৩য় তলার ভাড়া বাসা থেকে বিভিন্ন মডেলের ৬৭ মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসি ( উত্তর) আবদুল ওয়ারিশ বলেন চোর দলের বাকী সদস্যদের গ্রেফতার এবং বাকী মোবাইল সেট গুলো উদ্ধারের চেস্টা চলছে।
এ ছাড়া চোরাই মোবাইল ক্রেতা আইয়ুবকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইয়ুবের কাছেই চোরের সিন্ডিকেট বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করা মোবাইল সামগ্রী বিক্রি করে থাকে।