
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ. কে.এম শাহজাহান কামাল আগামী ৯ মাসে বাংলাদেশ বিমান ও পর্যটন খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধিত হবে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে ৮০০ মিটার সম্প্রসারণ করা হবে।
তিনি শুক্রবার রাতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার পরিদর্শন এবং চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী চট্টগ্রামকে শিল্পনগরী উল্লেখ করে বলেন-এতদঞ্চলে পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভবনা রয়েছে। তাঁর মন্ত্রণালয় কর্তৃক আগামী দিনগুলোতে এ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলো চিহ্নিতকরণপূর্বক বিনিয়োগের লক্ষ্যে বেসরকারী উদ্যোক্তাদের সরকারী জায়গা লীজ দেয়া ও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে ৮০০ মিটার সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানান। মন্ত্রী বিমান ও পর্যটন খাতের বিকাশে স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ খাতের উন্নয়নে চিটাগাং চেম্বারকে লিখিত প্রস্তাবনা পাঠানোর অনুরোধ জানান।
এ সময় চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, চিটাগাং চেম্বার পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী, ছৈয়দ ছগীর আহমদ, অঞ্জন শেখর দাশ, চেম্বারের সদ্যবিদায়ী পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, বিকেএমইএ’র সাবেক পরিচালক শওকত ওসমান বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে মিয়ানমারের অনারারী কনসাল মোঃ হাকিম আলী, চেম্বার পরিচালকদ্বয় সরওয়ার হাসান জামিল ও মুজিবুর রহমান, মহানগর আওয়ামীলীগ’র উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইসহাক, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিঞা।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও আরো বেশী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা, প্রবাসী শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের বিমান বন্দরে বিশেষ সহায়তা প্রদান, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ সারা দেশে পর্যটন খাতের বিকাশে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, পর্যটন কর্পোরেশনের পুরনো মোটেল ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ, চট্টগ্রামের সাথে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কাপ্তাই ও বান্দরবানের মহাসড়ক ডাবল লেনে উন্নীতকরণ ও পতেঙ্গা বীচকে আধুনিক পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার দাবী জানান। তিনি চট্টগ্রাম-চিয়াংমাই-ব্যাংকক রুট পুনরায় চালু করা এবং পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে চিয়াংমাই এর সাথে চট্টগ্রামের জয়েন্ট সিটি প্রোগ্রাম চালু করার প্রস্তাব করেন।