
বিএনপির কেন্দ্র্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক মেয়র মীর নাছির উদ্দিন বলেছেন, দেশনেত্র্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আজীবন আপোসহীন। গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়া সমার্ত্বক। অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে দেশে গণ বিস্ফোরণ ঘটবে।
তিনি আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) নগরীর কাজীর দেউরীস্থ নূর আহমদ সড়কে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ কথা বলেন।
মীর নাছির বলেন, বেগম জিয়া মুুক্তি পেলে, বাংলাদেশে গনতন্ত্র মুক্তি পাবে। দেশে প্রকৃত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম জিয়াকে সাজানো মামলায় কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে মুক্তির দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত ৩ দিনব্যাপি কর্মসূচির ২য় দিনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। হাজার হাজার নেতাকর্মী এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি মীর নাছির আরো বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম জিয়াকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মুক্ত খালেদা জিয়ার ছেয়ে বন্দি খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা অনেক বেশী। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে জেলে রেখে বাংলাদেশের মাটিতে কারো স্বপ্ন পুরণ হবে না।
চট্টগ্রাম মহানগরসহ সমগ্র জেলায় পুলিশী নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে মীর নাছির বলেন, অন্যায়ভাবে নগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন বহির্ভূতভাবে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। পুলিশ বিনা উস্কানিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করছে।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ নেতাকর্মীদের বাড়ীঘরে তল্লাশী চালিয়ে হয়রাণী করছে। চট্টগ্র্রাম থেকে গণ আন্দোলন শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সহ নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে বাংলাশের ঘরে ঘরে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম প্রধান বক্তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে। গণতন্ত্রের মা আজ কারাগারে বন্দি। অবৈধ সরকার ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরিন করে রেখেছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সম্মানহানী করার জন্য এটি অবৈধ সরকারের ষড়যন্ত্র তা দেশের মানুষ বুঝে। বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা কমেনি বরং শাসক দলের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। তিনি বলেন, মামলা-হামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে দমানো যাবে না। দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের লোকজনও বিশ্বাস করে না। এ মিথ্যা মামলার কারণে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, বেগম জিয়াকে যে প্রহসনের সাজা দিয়েছে তার বিচার একদিন বাংলাদেশের জনগণ করবে। বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ায় বাংলাদেশ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, সরকার জনগণের রায়কে ভয় পায় বলে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে এক দলীয় নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে বিএনপি নেতাকর্র্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না। অবিলম্বে বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিলে সারাদেশে জনগণ রাজপথে নেমে আসবে। তিনি আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অনশন কর্মসূচি সফল করার জন্য মহানগর বিএনপি ও অংগসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং বিক্ষুব্ধ জনতাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সদস্য মো. সামশুল ইসলাম, উদয় কুসুম বড়ুয়া, এম এ হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, হাজী মো. আলী, সৈয়দ আজম উদ্দিন, সুবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, মাহবুব আলম, এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মো. খান, কামাল উদ্দিন কন্ট্রাক্টর, মো. ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, এম এ হান্নান, আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন, অধ্যাপক মো. ইউনুস, নুরুল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মন্নান, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, জসিম উদ্দিন সিকদার, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, হাজী মো. তৈয়ব, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মবিন, বিএনপি নেতা এড. নুরুল ইসলাম, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, মো. সেকান্দর চৌধুরী, আবু তাহের, নূর মোহাম্মদ, ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, এড. কাশেম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, শওকত ওসমান, এড. নাছির উদ্দিন, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, নবাব হোসেন চৌধুরী, সরওয়ার আলমগীর, শওকত আলী নূর, মাইনুদ্দিন মাহমুদ, ফিরোজ আহমদ, মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, ২০ দলীয় জোট নেতা কল্যাণ পার্টির মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াছ, এনপিপির আনোয়ার ছাদেক, জাগপার আবু মোজাফ্ফর মো আনাছ, লেবার পার্টির আলাউদ্দিন আলী, মুজিবুর রহমান, মুসলিম লীগের নাজমুল হাসান সেলিম , জাতীয় পার্টির এড. জাহেদ হোসেন, নগর জাসাস সভাপতি আবদুল মান্নান রানা, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক হাজী হোসেন আহমদ, নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ভুলু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।