
চট্টগ্রামে পরীক্ষার আগে কেন্দ্রের বাইরে মোবাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ১৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার এবং ২৭ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরীর বাওয়া স্কুল কেন্দ্রে গ্রেফতার ৯ এবং বহিস্কার ২৪।
নগরীর বাইরে জেলার ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বনানী স্কুল কেন্দ্রে গ্রেফতার ৭ এবং বহিস্কার করা হয়েছে ৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের ঘণ্টাখানেক আগে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে করে ৫০ এসএসসি পরীক্ষার্থী ফাঁস হওয়া এসএসসির পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র মুঠোফোনে দেখছিলো। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী বাসটিতে উঠে দেখেন সকল শিক্ষার্থী প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র দেখাতে ব্যস্ত। এসব শিক্ষার্থীদের সবাই নগরীর আইডিয়েল স্কুলের ছাত্র এবং বাওয়া স্কুল কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী।

একই ঘটনা ঘটে জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর হেঁয়াকো বনানী স্কুল কেন্দ্রে। সেখানেও পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রের বাইরে তিনটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা মোবাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন দেখছিল। এসময় পুলিশ তাদের চ্যালেঞ্জ করে এবং পরীক্ষা চলাকারীন পর্যন্ত তাদেরকে নজরবন্দি করে রাখে। পরীক্ষা শেষে তাদের মধ্য থেকে ৭ জনকে গ্রেফতার এবং তিনজনকে বহিস্কার করা হয়। দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই মিয়া আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুত্র জানায়, বাওয়া স্কুল কেন্দ্রের পাশে বাসে বসে বেশ কয়েকদিন থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে থেকে কিছু পরীক্ষার্থী জটলা বেঁধে মুঠোফোনে কি যেন দেখে। বিষয়টি আমার নজরে আসে। এর প্রেক্ষিতে আজ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিষয়টি আমি নজরদারিতে রাখি।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, সকাল নয়টার দিকে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের পাশে এসে থামে। নগরীর বাওয়া স্কুল কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নয়ার জন্য আসা ৫৬ জন পরীক্ষার্থীই ছিল নগরীর আইডিয়েল স্কুলের। এসময় ওই স্কুলের এক শিক্ষিকাও সঙ্গে ছিলেন ।
বাসের ভিতরে ৬/৭ জন জটলা বেঁধে মুঠোফোনে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আসা পদার্থবিজ্ঞানের খ সেটের প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেখছিল। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ওই বাসে অভিযান চালিয়ে আটটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পরীক্ষা শুরু হচ্ছিল বিধায় মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ দেয়া হয়।
এদিকে ফটিকছড়ির হেয়াকোঁ বনানী স্কুল কেন্দ্র থেকে একই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সাতজন শিক্ষার্থীও মধ্যে ৩ জন বাগান বাজার স্কুলের, ৩ জন গজারিয়া জেবুন্নেছা স্কুলের এবং বাকী ১ জন চিকন ছড়া স্কুলের। গ্রেফতারকৃতরা হলেন ওসমান গনি, এবায়েদ উল্লাহ, রনজিত পাল, নিলয় চন্দ্র দে, শরীফুল ইসলাম মেজবা উদ্দিন ও শহিদুল ইসলাম সাগর ।