
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একরামুল হক হত্যা মামলায় ৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকালে ফেনী জেলা দায়রা জজ আমিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনারসহ ১৬ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট হাফিজ আহমেদ রায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় ৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণাকালে কারাগারে আটক ৩৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
হাফিজ আহমেদ আরো বলেন, মামলার পর থেকে ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। এছাড় আরো নয়জন আসামি জামিন নেয়ার পর পলাতক আছেন। এছাড়া এ মামলার একজন আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য আজকের দিন (১৩ মার্চ) নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। ওই দিন ২২ আসামির সবার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায় আদালত। বিভিন্ন সময় আইনশৃংখলা বাহিনী ৪৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরে মাস্টার পাড়ার নিজ বাসভবনে যাওয়ার পথে বিলাসি সিনেমা হলের সামনে একরামুল হকের মাইক্রোবাসের পথ রোধ করে গুলি ও পেট্রোল বোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
এতে গুলি ও আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একরামুল হক।
ঘটনার একদিন পর একরামুল হকের ভাই রেজাউল হক জসিম বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন মিনার ও কয়েজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ফেনী সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
পরে পুলিশ ২৭ মে রাজধানী থেকে বিএনপি নেতা মিনারকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ৫৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আদালত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ (মঙ্গলবার) আদালত এ মামলায় ৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে রায় দেন।