
নগরীর বন্দর থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিনকে প্রকাশ্যে দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার আসামী বির্তর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালের ছেলেসহ ৪ জন ঢাকার খিলক্ষেত থানার এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বন্দর থানার এসি ও ওসি বিষয়টি স্বীকার না করলেও সিএমপির ডিসি ডিবি (বন্দর জোন) মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হাজী ইকবালের ছেলে সহ ৪ জনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন খিলক্ষেত থানার গোরান এলাকার আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় অভিযান চালিয়ে যুবলীগ কর্মী ফারুক হত্যার ৪ আসামীকে আমরা গ্রেফতার করেছি। তারা বর্তমানে ঢাকা ডিবি কার্যালয়ে আছে। বিকালে চট্টগ্রামে আনা হবে।
অন্যদিকে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার ওসি শহিদুল হক বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে আপনাদের বন্দর থানার পুলিশের একটি টিম খিলক্ষেতের একটি বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিএমপি বন্দর জোনের ডিসি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বন্দর ওসি মঈনুল ইসলাম বলেন আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আপনারা এসিকে ফোন করেন।
জানতে চাই সিএমপির উপ কমিশনার (বন্দর) হারুন অর-রশীদ হাজারী বলেন, অভিযানের ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই, আমি কিছুই জানি না।
পুলিশের একটি সুত্র জানায়, যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন হত্যার পর থেকে লীগ নেতা হাজী ইকবালসহ হত্যাকারীদের কয়েকজন ঢাকায় এক আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসায় আত্মগোপন করেছিল।
চট্টগ্রামের পুলিশ খবর পেয়ে গতকাল মধ্যরাতে খিলক্ষেতের সে নেত্রীর বাসা ঘেরাও করে অভিযান শুরু করলে আওয়ামী নেত্রী হাজী ইকবালকে বাসার পিছন দিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন। তবে পুলিশ হাজী ইকবালের এক ছেলেসহ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য গত ২৬ মার্চ নগরীর বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিংয় এলকায় অবস্থিত মেহের আফজাল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি সভা চলাকালীন প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকে যুবলীগ কর্মী মো. মহিউদ্দিনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এলাকার আধিপত্য ও স্কুলের আধিপত্য নিয়ে চলা বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।