
চট্টগ্রামের ২৫ জন বিএনপি নেতকর্মীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিন লাভের পর জামিনের মেয়াদ শেষে আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর চট্টগ্রামের নিন্ম আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর দ্বিতীয় দায়রা জজ ফারুক আহমদের আদালত জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএরপির সহ দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী পাঠক ডট নিউজকে জানান, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্নিতী মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর দিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে খুলশী থানায় ৪৫ জনকে আসামী করা হয়। এর মধ্যে গত ১৯ ফেব্রুয়ারী সহ ৩ দফায় ৩৫ জন নেতা কর্মীরা হাইকোর্ট থেকে অস্থায়ী জামিন লাভ করে। পরে তাদের নিম্ম আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়।
জামিনের মেয়াদ শেষ হলে গত ৪ এপ্রিল ৩২ জন এবং আজ ২৫ জনের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে আদালত জেল হাজতে পাঠায়।

কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন, কোতোয়ালী থানার মামলায় নগর বিএনপির হকার্স বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাতেন, আলকরণ ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম মিয়া, যুবদল নেতা মোঃ নওশাদ, মোঃ আনোয়ার, মোঃ আকরাম,মোঃ শাহ জাহান, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ আমির, মোঃ সেলিম, মোঃ ইলিয়াছ।
বন্দর থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো নেতাকর্মীরা হলেন, নগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান, মোঃ ছবুর, হাজী হোসেন, মনজুর আলম, মোঃ কামরুল, মোঃ আলমগীর,মোঃ তানভীর মোঃ পারভেজ।
ইপিজেড় থানার বিএনপি নেতৃবৃন্দরা হলেন-থানা বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ শাহ জাহান, সিঃ যুগ্ম সম্পাদক জাবেদ আনসারী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নূর উদ্দিন মুন্না, প্রচার সম্পাদক মোঃ সোলাইমান, ছাত্রদল নেতা মোঃ সোহেল, ও মোঃ সাইফুল।
এদিকে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা বিএনপি নেতাদের জেল হাজতে প্রেরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
এক যুক্ত বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রে বন্দর, ইপিজেড ও কোতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত দুইটি মিথ্যা, বানোয়াট,সাজানো মামলায় বিএনপির নেতৃবৃন্দ আজ ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম আদলতে আত্নসমার্পন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুন করে কারাগারে প্রেরণ করেন। উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরও নিন্ম আদালত জামিন বাতিল করার ঘটনা নজিরবিহীন। সরকার নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে আদালতের উপর যে নিয়ন্ত্রন প্রাতষ্ঠা করেছে এইটি তারই বহিঃপ্রকাশ। সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে দিশেহারা হয়ে বিরোধী দল ও মতের নেতাকর্মীদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে, গুম খুন করে, ভয় দেখিয়ে অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখার যে নীল নকশা করেছে, তার বাস্তবায়ন করতে এদেশের জনগন দিবে না।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
*চট্টগ্রাম বিএনপি ৩২ নেতাকর্মী কারাগারে