
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. সাইদুর রহমান পায়েল (২০) নিহতের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হানিফ পরিবহনের চালক জামাল হোসেন (৩৫)।
বৃহস্পতিবার বিকালে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুশপতি বিশ্বাস।
চালক স্বীকার করেন, বাসের অটো দরজার সাথে ধাক্কা লেগে পায়েল রাস্তায় পড়ে যায়। এতে তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তাকে মৃত ভেবে পাশের ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন তিনি।
এর আগে বুধবার বিকালে মামলার প্রধান আসামি হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার মো. জনি (৩৮) আদালতে ১৬৪ ধারায় অনুরূপ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
তবে মামলাটির অপর আসামি চালকের ছোট ভাই হেলপার ফয়সাল হোসেন (৩০) এখনো ঘটনার দায় স্বীকার করেননি।
সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ ফয়সালকে আদালতে পাঠিয়েছে।
গজারিয়া থানার ওসি হারুন-অর-রশীদ জানান, পরবর্তী কর্মদিবসে তার রিমান্ড শুনানি হবে। বর্তমানে তিন আসামিকেই মুন্সীগঞ্জ জেলা কারগারে রাখা হয়েছে।

এদিকে সার্বিক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম। এ সময় একই বাসে থাকা পায়েলের বন্ধু মহিউদ্দিন শান্ত এবং হাকিমুর রহমান আদর উপস্থিত ছিলেন।
গজারিয়া থানার ওসি হারুন-অর-রশীদ জানান, পায়েল জীবিত ছিল। এর স্পষ্ট প্রমাণ হচ্ছে, পায়েল মৃত্যুর আগে ১০ থেকে ১৫ কেজি পানি খেতে খেতে ডুবে যায়। তার পেটে পানি ছিল। ময়নাতদন্ত এবং সুরহতাল রিপোর্টেও তা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া রাস্তায় যে পরে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তা বোঝা যায়-পায়েলের মুখে পিচঢালা রাস্তার পিচসহ ছোট পাথর লেগেছিল মুখে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনায় পায়েলের মামা গোলাম সোরয়ার্দী বিপ্লব এই ঘটনায় বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
সাইদুর রহমান পায়েল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ৫ম সেমিস্টারের ছাত্র। সে চট্টগ্রামের হালিশহরের গোলাম মাওলার ছেলে। সুত্রঃ ইউএনবি