
মালিক শ্রমিক পক্ষের মধ্যে সমঝোতার পর চালু হচ্ছে ফটিকছড়ির উদালিয়া চা বাগান। সোমবার সকাল থেকে কাজে যোগ দিচ্ছে বাগানের শ্রমিকরা। রোববার রাতে উপজেলা চেয়ারম্যান এম তৌহিদুল আলম বাবু’র মধ্যস্থতায় এ সমঝোতা হয়।
৫ দিন বন্ধ থাকার পর আবার কাজে ফিরছে শ্রমিকরা। বিকাল থেকে রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলা বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায়, শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী শ্রম পরিচালক যথাক্রমে মোকসেদুল আলম ও শাব্বির ভুইয়া,
উদালিয়া চা বাগানের মালিক হেফাজুতুর রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা, বাগানের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম, চা শ্রমিক ইউনিয়নের চট্টগ্রাম ভ্যালির সভাপতি নিরঞ্জন নাথ মন্ঠু, উদালিয়া বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি আবেশ দাস, সেক্রটারী বিজয় নায়েক।
দীর্ঘ বৈঠকে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বাগানে সৃষ্ট ঘটনার জন্য তাদের ভুল স্বীকার করে কিছু দাবী তুলে ধরেন। তারা পূনরায় কাজে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সমজোতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাগানের মালিক হেফাজুতুর রহমান বলেন শ্রমিকদের যে কোন ন্যায্য দাবীর প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন
থাকবে। তিনি শ্রমিকদের সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে বাগানে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বাগানে শ্রমিকদের উপর যাতে কোন ধরনের অনিয়ম বা অন্যায় আচরন না হয় সে বিষয়টা তিনি খেয়াল রাখবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, আইএলও নিয়ম অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হবে। এ সময় মালিক শ্রমিক ঐক্যবদ্ধভাবে চা শিল্পের উন্নয়নে কাজ করার বিষয়ে ঐক্যমত পোষন করেন।
উল্লেখ্য বাগানে নতুন ব্যাবস্থাপকের যোগদানকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে সকল কাজ বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। এসময় বাগানে ভাংচুর ও কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন তারা।
বাগানের ব্যবস্থাপক রফিক তাদের নিবৃত করার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন। উল্টো ব্যবস্থাপকের উপর চড়াও হন শ্রমিকরা। পরে ২৬ জুলাই বাগান কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শ্রমিক কর্মচারীদের কাজে যোগদানের জন্য অনুরোধ জানান। তাতেও শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেওয়ায় বাগান কর্তৃপক্ষ ২০০৬ সনের বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩ (১) ধারায় বাগানের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।